ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আলিম পরীক্ষার্থী থানায় Logo রাজধানীর টিকাটুলির কেমিক্যাল গুদামের আগুন ২ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে Logo ছাত্রীদের হলে পুরুষ স্টাফ দিয়ে তল্লাশি,তীব্র ক্ষোভ ছাত্রীদের Logo টঙ্গীতে চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা-লুটপাটের অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে Logo আবারও দাম কমলো ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের Logo ২০১৮ সালে রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি সাবেক সিইসি নুরুল হুদার Logo টিভিতে যে খেলা দেখবেন আজ Logo বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথিক কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রদলের হামলা অভিযোগ Logo Revolutionize Your Playtime with the Bold 1win App! Logo 1вин казино ваш шанс на выигрыш и увлекательные эмоции!

মালদ্বীপ থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ভারত- প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু

মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে ভারত।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এক সংবাদ সন্মেলনে এ কথা বলেন। গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুইজ্জু। গত মাসে তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

মালদ্বীপের ‘ভারত প্রথম’ (ইন্ডিয়া ফার্স্ট) নীতি পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিল মুইজ্জু। মালদ্বীপে প্রায় ৭৫ সদস্যের ভারতীয় সেনার উপস্থিতি রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হলে মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে মুইজ্জু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

মুইজ্জু গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় ভারত সরকার ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্পসংক্রান্ত ইস্যুর সুরাহায় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতেও সম্মত হয়েছি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।

মালদ্বীপকে কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে ভারত। তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় মালদ্বীপকে সহায়তা করে। এ ছাড়া একটি নৌ ডকইয়ার্ড তৈরিতে মালদ্বীপকে সহায়তা করছে ভারত।

নয়াদিল্লিতে ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষই ভারতের সহায়তার গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছে। তবে ভারতের এই কর্মকর্তা মুইজ্জুর মন্তব্যের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।

মুইজ্জুর বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য জানতে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল রয়টার্স। কিন্তু রয়টার্সের এই অনুরোধে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে প্রভাব বিস্তারের জন্য ভারত ও চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চীন ঘেষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার পূর্বসূরি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আলিম পরীক্ষার্থী থানায়

মালদ্বীপ থেকে সৈন্যদের সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে ভারত- প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু

আপডেট সময় ১২:২০:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৩

মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়েছে ভারত।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু এক সংবাদ সন্মেলনে এ কথা বলেন। গত সেপ্টেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হন মুইজ্জু। গত মাসে তিনি মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন।

মালদ্বীপের ‘ভারত প্রথম’ (ইন্ডিয়া ফার্স্ট) নীতি পরিবর্তনের জন্য নির্বাচনে প্রচার চালিয়েছিল মুইজ্জু। মালদ্বীপে প্রায় ৭৫ সদস্যের ভারতীয় সেনার উপস্থিতি রয়েছে। নির্বাচনে জয়ী হলে মালদ্বীপ থেকে সব ভারতীয় সেনা সরানোর বিষয়ে মুইজ্জু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

মুইজ্জু গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের আলোচনায় ভারত সরকার ভারতীয় সেনাদের সরিয়ে নিতে রাজি হয়েছে। আমরা উন্নয়ন প্রকল্পসংক্রান্ত ইস্যুর সুরাহায় একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করতেও সম্মত হয়েছি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলনের ফাঁকে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট এসব কথা বলেন।

মালদ্বীপকে কিছু সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করে ভারত। তারা দুর্যোগ মোকাবিলায় মালদ্বীপকে সহায়তা করে। এ ছাড়া একটি নৌ ডকইয়ার্ড তৈরিতে মালদ্বীপকে সহায়তা করছে ভারত।

নয়াদিল্লিতে ভারতের একজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষই ভারতের সহায়তার গুরুত্বের কথা স্বীকার করেছে। তবে ভারতের এই কর্মকর্তা মুইজ্জুর মন্তব্যের বিষয়ে সরাসরি কিছু বলেননি।

মুইজ্জুর বক্তব্যের বিষয়ে মন্তব্য জানতে গতকাল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছিল রয়টার্স। কিন্তু রয়টার্সের এই অনুরোধে তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।

ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে প্রভাব বিস্তারের জন্য ভারত ও চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা রয়েছে। মালদ্বীপের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মুইজ্জুকে চীন ঘেষা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তার পূর্বসূরি ইব্রাহিম মোহামেদ সলিহ ভারতপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।