পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনা পারভীনের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল চারটার দিকে কলাপাড়া পৌর শহরের এতিমখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন শাহিনা পারভীনকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। বর্তমানে তিনি সেখানেই ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। হামলার জন্য স্বাধীন মীরা নামের এক যুবককে দায়ী করেছেন শাহিনা পারভীন।
শাহিনা পারভীন অভিযোগ করে বলেন, আমি উপজেলা পরিষদের একটি উন্নয়নমূলক কাজ দেখতে নীলগঞ্জ ইউনিয়নে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে কলাপাড়া পৌর শহরের বাসায় ফেরার পথে এতিমখানা এলাকায় আমার ওপর হামলা করা হয়। স্বাধীন মীরা নামের এক যুবক আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমি মোটরসাইকেলের ওপর বসে ছিলাম। প্রথম সে আমার গায়ে লাথি মারে। এরপর আমি পড়ে গেলে লাঠি দিয়ে আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে দৌড়ে গিয়ে একটি সেলুন থেকে কেচি এনে আঘাত করে। এতে আমার ডান হাতের কনুই বরাবর ক্ষত তৈরি হয়। লাঠি দিয়ে পেটানোয় আমার শরীরে কয়েক জায়গায় জখম হয়েছে।’
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা বলেন, ভাইস চেয়ারম্যানের ডান হাতের কনুই কেটে ক্ষত তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া তার শরীরেও আঘাতের চিহ্ন আছে। আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। দ্রুত তিনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আহমেদ বলেন, ভাইস চেয়ারম্যান নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এতিমখানা এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় তিনি (ভাইস চেয়ারম্যান) দেখেন, স্বাধীন নামের এক ছেলে একজন অটোরিকশাচালককে চড়-থাপ্পড় মারছেন। এই দৃশ্য দেখে তিনি ওই ছেলেকে একটি চড় মারেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাইস চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করেন ওই ছেলে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ওই ছেলে মাদকাসক্ত বলে শুনেছেন। রাতে কলাপাড়া পৌর শহরের নতুন বাজার এলাকার বাসা থেকে তাকে আটক করেছে পুলিশ।