আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মসিউর রহমান ওরফের রাঙ্গার মনোনয়ন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দফতরে প্রার্থীদের যাছাই-বাছাই চলাকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না জানিয়েছেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার কাগজপত্র না দেয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জাতীয় পার্টির বহিষ্কৃত নেতা (মহাসচিব) ও সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রংপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য। তিনি এই আসন থেকে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন। এখানে এবার জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের ভাতিজা সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার।
এদিকে এরইমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় নিয়ম অনুযায়ী মনোনয়নপত্র পূরণ না করা, তথ্যে গরমিলসহ বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেন টাঙ্গাইল-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইউনুস ইসলাম তালুকদার ঠাণ্ডু, নড়াইল-১ এ স্বতন্ত্র প্রার্থী শিকদার শাহাদাত হোসেন। এছাড়া রংপুর-১ আসনে কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় জাতীয় পার্টির প্রার্থী রাঙ্গাসহ ৪ জনের মনোনয়নপত্র স্থগিত ও তিনজনের বাতিল করা হয়।
ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. সাবিরুল ইসলাম জানান, ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে ১ ডিসেম্বর থেকে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া শুরু হয়। শুরুতেই প্রার্থীদের তথ্য পাঠানো হয় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সেবাসংস্থার দফতরে। সেখান থেতে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে আগামী ৪ ডিসেম্বর প্রার্থীদের সামনেই উন্মোচন করা হবে নিজ নিজ আমলনামা।
এছাড়া রবি ও সোমবারও প্রার্থীদের উপস্থিতিতে চলবে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম। সেখানেই চূড়ান্ত হবে মনোনয়নের বৈধতা। তবে কেউ ছিটকে পড়লেও আপিলের সুযোগ পাবেন বলে জানান সাবিরুল ইসলাম।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন ও নির্বাচনী মাঠ সংঘাতমুক্ত রাখতে নিজেদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় সভার মাধ্যমে নিজেদের গুছিয়ে নিচ্ছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারাও।
চার ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আপিল নিষ্পত্তির কার্যক্রম। ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুযোগ থাকছে মনোনয়ন প্রত্যাহারের। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে নির্বাচনের মূল আমেজ প্রচার-প্রচারণা।