ঢাকা ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ Logo বাকসু নিয়ে বিতর্কিত গণভোট আয়োজনের অভিযোগ ববি ছাত্র কাউন্সিলের বিরুদ্ধে Logo ‎বাগেরহাটে আসন কমানোর প্রস্তাবে ক্ষুব্ধ জেলাবাসী, করেছে বিক্ষোভ ‎ Logo উপদেষ্টা আসিফের সমর্থকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া Logo ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প Logo নওগাঁয় আলু চাষিদের বিক্ষোভ: ন্যায্য মূল্যের দাবিতে সড়কে আলু ফেলে প্রতিবাদ Logo বিএনপি অফিসের ভাড়া চাওয়ায় দোকান মালিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ৪০০ এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা দিল জুড়ী ছাত্রশিবির Logo ৫ আগস্ট ঘিরে নিরাপত্তা শঙ্কা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo ৩০ জুলাই ফেসবুকে‘প্রোফাইল লাল’করে প্রতিবাদ

৪৫ বার কারাভোগ করেও চুরি ছাড়েননি বরিশালের কালাম

৪৫ বার কারাভোগ করেছেন আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। এর পরও ছাড়েননি চুরি। জামিনে মুক্ত হয়ে আবার নামেন চুরি করতে। ৫৩টি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি কালাম প্রথম দিকে রিকশা চুরি করতেন।

কারাগারে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চোরের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে রিকশা চুরি বাদ দেন। হাত পাকান মোটরসাইকেল চুরিতে। প্রতি মাসে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি করেন। তবে চুরি করে যে আয়, তা মামলার পেছনেই চলে যায়।

গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কালামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। এর পর চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি।

ডিবি জানায়, কালামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার দক্ষিণ দুধাল এলাকায়। প্রায় তিন দশক ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন তিনি। কখনও রিকশা চালিয়ে, কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১০ সালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় তার রিকশা চুরি হয়। এর পর নিজেই নামেন রিকশা চুরি করতে। বছরখানেক পর চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে কারাগারে যান। এ পর্যন্ত কালাম অন্তত ৪৫ বার গ্রেপ্তার হন এবং কারাগারে যান। ১০-১২ বার পুলিশের রিমান্ডে এসেছেন বিভিন্ন মামলায়। একটি মামলায় কালামকে সর্বোচ্চ ১৩ মাস কারাগারে থাকতে হয়। গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ধারদেনা করে তাকে জামিন করান। জামিনে বেরিয়ে বাইক চুরি করে বিক্রির টাকা পাওয়ার পর ঋণ পরিশোধ করেন।

কারাগারে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য জসিম, রাকিব, রহিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে কালামের পরিচয় হয়। জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে চুরি করলেও পরে কালাম ছাড়া অন্যরা চোর চক্রের হোতা বনে যান। আলাদা চক্র গড়ে তুলে চুরি করেন তারা। সাধারণত আবাসিক ভবনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন কালাম ও খালেক। চক্রে আরও কয়েকজন আছেন। একটি চুরি মামলায় তিন মাস আগে কারাগারে যান কালাম। দুই মাস আগে জামিনে মুক্ত হন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি মামলায় মঙ্গলবার তাকেসহ চারজনকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। গতকাল তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

সাপ্তাহিক ‘হাতিয়ার কথা’র সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে ডিক্লারেশন পেলেন সাংবাদিক কেফায়েতুল্লাহ

৪৫ বার কারাভোগ করেও চুরি ছাড়েননি বরিশালের কালাম

আপডেট সময় ১২:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

৪৫ বার কারাভোগ করেছেন আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। এর পরও ছাড়েননি চুরি। জামিনে মুক্ত হয়ে আবার নামেন চুরি করতে। ৫৩টি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি কালাম প্রথম দিকে রিকশা চুরি করতেন।

কারাগারে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চোরের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে রিকশা চুরি বাদ দেন। হাত পাকান মোটরসাইকেল চুরিতে। প্রতি মাসে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি করেন। তবে চুরি করে যে আয়, তা মামলার পেছনেই চলে যায়।

গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কালামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। এর পর চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি।

ডিবি জানায়, কালামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার দক্ষিণ দুধাল এলাকায়। প্রায় তিন দশক ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন তিনি। কখনও রিকশা চালিয়ে, কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১০ সালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় তার রিকশা চুরি হয়। এর পর নিজেই নামেন রিকশা চুরি করতে। বছরখানেক পর চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে কারাগারে যান। এ পর্যন্ত কালাম অন্তত ৪৫ বার গ্রেপ্তার হন এবং কারাগারে যান। ১০-১২ বার পুলিশের রিমান্ডে এসেছেন বিভিন্ন মামলায়। একটি মামলায় কালামকে সর্বোচ্চ ১৩ মাস কারাগারে থাকতে হয়। গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ধারদেনা করে তাকে জামিন করান। জামিনে বেরিয়ে বাইক চুরি করে বিক্রির টাকা পাওয়ার পর ঋণ পরিশোধ করেন।

কারাগারে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য জসিম, রাকিব, রহিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে কালামের পরিচয় হয়। জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে চুরি করলেও পরে কালাম ছাড়া অন্যরা চোর চক্রের হোতা বনে যান। আলাদা চক্র গড়ে তুলে চুরি করেন তারা। সাধারণত আবাসিক ভবনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন কালাম ও খালেক। চক্রে আরও কয়েকজন আছেন। একটি চুরি মামলায় তিন মাস আগে কারাগারে যান কালাম। দুই মাস আগে জামিনে মুক্ত হন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি মামলায় মঙ্গলবার তাকেসহ চারজনকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। গতকাল তাদের আদালতে পাঠানো হয়।