ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোন ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: নাহিদ ইসলাম Logo আগামী ৫ জুলাই সরকারি সফরে নবীনগরে আসছেন অর্থ উপদেষ্টা Logo জামায়াতের অনুষ্ঠানে গিয়ে ‘সৎ-যোগ্য’ লোককে ভোট দিতে বললেন ডিএমপি কর্মকর্তা Logo পাবনায় জামায়াত মনোনীত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোষণা সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে জুলাই ঘোষণাপত্র হচ্ছে না?-প্রশ্ন ছাত্রশিবির সভাপতির Logo এখন থেকে পাগলা মসজিদে দান করা যাবে অনলাইনে Logo ছাত্রদল নেতার নির্দেশ: ফেক আইডি খুলে দৈনিক ১০টি করে পোস্ট দিতে হবে Logo সংসদ নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবি Logo নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংস্কার প্রয়োজন: জামায়াত আমির Logo লক্ষ্মীপুরে রোগীকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে ডা.শিপলু সরকারের বিরুদ্ধে

৪৫ বার কারাভোগ করেও চুরি ছাড়েননি বরিশালের কালাম

৪৫ বার কারাভোগ করেছেন আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। এর পরও ছাড়েননি চুরি। জামিনে মুক্ত হয়ে আবার নামেন চুরি করতে। ৫৩টি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি কালাম প্রথম দিকে রিকশা চুরি করতেন।

কারাগারে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চোরের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে রিকশা চুরি বাদ দেন। হাত পাকান মোটরসাইকেল চুরিতে। প্রতি মাসে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি করেন। তবে চুরি করে যে আয়, তা মামলার পেছনেই চলে যায়।

গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কালামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। এর পর চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি।

ডিবি জানায়, কালামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার দক্ষিণ দুধাল এলাকায়। প্রায় তিন দশক ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন তিনি। কখনও রিকশা চালিয়ে, কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১০ সালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় তার রিকশা চুরি হয়। এর পর নিজেই নামেন রিকশা চুরি করতে। বছরখানেক পর চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে কারাগারে যান। এ পর্যন্ত কালাম অন্তত ৪৫ বার গ্রেপ্তার হন এবং কারাগারে যান। ১০-১২ বার পুলিশের রিমান্ডে এসেছেন বিভিন্ন মামলায়। একটি মামলায় কালামকে সর্বোচ্চ ১৩ মাস কারাগারে থাকতে হয়। গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ধারদেনা করে তাকে জামিন করান। জামিনে বেরিয়ে বাইক চুরি করে বিক্রির টাকা পাওয়ার পর ঋণ পরিশোধ করেন।

কারাগারে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য জসিম, রাকিব, রহিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে কালামের পরিচয় হয়। জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে চুরি করলেও পরে কালাম ছাড়া অন্যরা চোর চক্রের হোতা বনে যান। আলাদা চক্র গড়ে তুলে চুরি করেন তারা। সাধারণত আবাসিক ভবনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন কালাম ও খালেক। চক্রে আরও কয়েকজন আছেন। একটি চুরি মামলায় তিন মাস আগে কারাগারে যান কালাম। দুই মাস আগে জামিনে মুক্ত হন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি মামলায় মঙ্গলবার তাকেসহ চারজনকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। গতকাল তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদ বাস্তবায়নে কোন ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না: নাহিদ ইসলাম

৪৫ বার কারাভোগ করেও চুরি ছাড়েননি বরিশালের কালাম

আপডেট সময় ১২:০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩

৪৫ বার কারাভোগ করেছেন আবুল কালাম আজাদ (৫৫)। এর পরও ছাড়েননি চুরি। জামিনে মুক্ত হয়ে আবার নামেন চুরি করতে। ৫৩টি মামলায় এজাহারনামীয় আসামি কালাম প্রথম দিকে রিকশা চুরি করতেন।

কারাগারে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চোরের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর জামিনে বেরিয়ে রিকশা চুরি বাদ দেন। হাত পাকান মোটরসাইকেল চুরিতে। প্রতি মাসে চার-পাঁচটি মোটরসাইকেল চুরি করেন। তবে চুরি করে যে আয়, তা মামলার পেছনেই চলে যায়।

গত মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) রাতে কালামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওয়ারী বিভাগ। এর পর চুরির কথা স্বীকার করেন তিনি।

ডিবি জানায়, কালামের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার দক্ষিণ দুধাল এলাকায়। প্রায় তিন দশক ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন তিনি। কখনও রিকশা চালিয়ে, কখনও ঠেলাগাড়ি ঠেলে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০১০ সালে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় তার রিকশা চুরি হয়। এর পর নিজেই নামেন রিকশা চুরি করতে। বছরখানেক পর চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে কারাগারে যান। এ পর্যন্ত কালাম অন্তত ৪৫ বার গ্রেপ্তার হন এবং কারাগারে যান। ১০-১২ বার পুলিশের রিমান্ডে এসেছেন বিভিন্ন মামলায়। একটি মামলায় কালামকে সর্বোচ্চ ১৩ মাস কারাগারে থাকতে হয়। গ্রেপ্তারের পর স্ত্রী ধারদেনা করে তাকে জামিন করান। জামিনে বেরিয়ে বাইক চুরি করে বিক্রির টাকা পাওয়ার পর ঋণ পরিশোধ করেন।

কারাগারে মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্য জসিম, রাকিব, রহিমসহ কয়েকজনের সঙ্গে কালামের পরিচয় হয়। জামিনে বেরিয়ে একসঙ্গে চুরি করলেও পরে কালাম ছাড়া অন্যরা চোর চক্রের হোতা বনে যান। আলাদা চক্র গড়ে তুলে চুরি করেন তারা। সাধারণত আবাসিক ভবনের গ্যারেজ থেকে মোটরসাইকেল চুরি করেন কালাম ও খালেক। চক্রে আরও কয়েকজন আছেন। একটি চুরি মামলায় তিন মাস আগে কারাগারে যান কালাম। দুই মাস আগে জামিনে মুক্ত হন। যাত্রাবাড়ী এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি মামলায় মঙ্গলবার তাকেসহ চারজনকে যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবির ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। গতকাল তাদের আদালতে পাঠানো হয়।