ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাজাকে নিশ্চিহ্ন করার কোনো ন্যায্যতা থাকতে পারে না: গুতেরেস Logo বিএনপি কর্মীকে হত্যা মামলায় কুষ্টিয়ার সাবেক এসপি তানভীর আরাফাত গ্রেপ্তার Logo মাইলস্টোনে বিমান দুর্ঘটনার সময় ভবনে ছিল ৫৯০ শিক্ষার্থী: অধ্যক্ষ Logo যান্ত্রিক ত্রুটিতে মাঝ আকাশ থেকে দাম্মামগামী বিমান ফিরলো ঢাকায় Logo খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি: ডা. জাহিদ Logo বৈষম্যবিরোধী নেতার অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে কোনো বাধা নেই: দুদক Logo জাতীয় নির্বাচন ঘিরে আগস্ট থেকে পুলিশের প্রশিক্ষণ শুরু: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo বিএমডিএ রাজশাহীর কার্যালয়ে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ; তিন দফা দাবি উত্থাপন Logo জামায়াতের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি অভিযোগ তুলে মিছিল, রাতেই ডাকাতি করে আটক যুবদল নেতা Logo সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের মাটি থেকে সন্ত্রাসীদের উচ্ছেদ করবো: প্রধান উপদেষ্টা

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় হামাস

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ১১:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩
  • 363

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় হামাস

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, তার মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই রাজনৈতিক গোষ্ঠী। রোববার এক বিবৃতিতে নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছে হামাসের হাইকমান্ড।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় দেওয়া সেই বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায়। মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মিদের মুক্তিদান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের দেড় মাস পেরোনোর পর গত শুক্রবার থেকে চার দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। উভয়পক্ষকে, বিশেষ করে হামাসকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আনতে বিশেষ কূটনৈতিক ভূমিকা রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতার। হামাসের উচ্চপর্যায়ের নেতারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ প্রসঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘চারদিনের যুদ্ধবিরতির ফলে জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যে গতি এসেছে, সেটি অব্যাহত রাখতেই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো জরুরি। আমরা আশা করছি, সবাই এ ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন। গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় শুরু হয়েছে চার দিনের যুদ্ধবিরতি। বিরতির তৃতীয়দিন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাজাকে নিশ্চিহ্ন করার কোনো ন্যায্যতা থাকতে পারে না: গুতেরেস

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় হামাস

আপডেট সময় ১১:৫৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৩

ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি চলছে, তার মেয়াদ আরও বাড়াতে চায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন এই রাজনৈতিক গোষ্ঠী। রোববার এক বিবৃতিতে নিজেদের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছে হামাসের হাইকমান্ড।

যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় দেওয়া সেই বিবৃতিতে হামাসের হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাস চার দিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে চায়। মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মিদের মুক্তিদান প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার জন্যই এই যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।’

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের যোদ্ধাদের অতর্কিত হামলার মধ্যে দিয়ে শুরু হওয়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের দেড় মাস পেরোনোর পর গত শুক্রবার থেকে চার দিনের মানবিক যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে গাজায়। উভয়পক্ষকে, বিশেষ করে হামাসকে এই যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে আনতে বিশেষ কূটনৈতিক ভূমিকা রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশ কাতার। হামাসের উচ্চপর্যায়ের নেতারা গত বেশ কয়েক বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি এ প্রসঙ্গে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেন, ‘চারদিনের যুদ্ধবিরতির ফলে জিম্মিদের হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় যে গতি এসেছে, সেটি অব্যাহত রাখতেই বিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানো জরুরি। আমরা আশা করছি, সবাই এ ব্যাপারটির গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবেন।’

গত ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালানোর পর ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। পরে ১৬ অক্টোবর থেকে অভিযানে যোগ দেয় স্থল বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর টানা দেড় মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা, নিহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। নিহত এই ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, হামাস যোদ্ধাদের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছিলেন ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলার চালানোর দিন এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে শত শত সামরিক-বেসামরিক মানুষকে হত্যার পাশাপাশি ২৪২ জনকে জিম্মি হিসেবে গাজায় নিয়ে গিয়েছিলেন হামাসের যোদ্ধারা। এই জিম্মিদের মধ্যে ইসরায়েলিদের সংখ্যা ১০৪ জন। বাকি ১৩৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, আর্জেন্টিনা, রাশিয়া ও ইউক্রেনের নাগরিকরা রয়েছেন। গত শুক্রবার থেকে গাজা উপত্যকায় শুরু হয়েছে চার দিনের যুদ্ধবিরতি। বিরতির তৃতীয়দিন পর্যন্ত মোট ৩৯ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস।