নোয়াখালীর কাশেম বাজার জামে মসজিদে ছাত্রশিবিরের কুরআন প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে ছাত্রদল- যুবদলের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর শাখা।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে চারটায় চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি দুই নম্বর গেইটে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। ছাত্রশিবির মহানগর উত্তরের সেক্রেটারি মুমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি মাইমুনুল ইসলাম মামুন।
এসময় তানজির হোসেন জুয়েল বলেন, কুরআনের উপর হামলা আজকে নতুন নয় বরং যুগে যুগে ইসলাম বিরোধী শক্তি কুরআনের প্রোগ্রামে হামলা চালিয়ে এসেছে। আমরা দেখেছি আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ইতোপূর্বে রমজানে কুরআন তালিম, ইফতার প্রোগ্রামে হামলা করতো এখন নব্য ফ্যাসিবাদিরা তাদের পথই অনুসরণ করছে।
তিনি আরো বলেন, মসজিদ কারো বাপের সম্পত্তি নয়, মসজিদে কুরআনের আলোচনা হবে, হাদিসের আলোচনা হবে যেই বাঁধা দিবে তাদেরকে উচিত জবাব দেওয়া হবে। একজন মুসলমান হিসেবে এটি আমাদের সকলের দায়িত্ব।
বক্তব্যে মোহাম্মদ আলী বলেন, ছাত্রদল- বিএনপির সন্ত্রাসীরা নোয়াখালীতে পবিত্র কুরআন তালিমে হামলা করে আমাদের ভাইদেরকে রক্তাক্ত করেছে। তারা গ্রামে গঞ্জে আমাদের মা বোনদের প্রোগ্রামেও ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য ছাত্র সমাজ আপনাদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে যার ফলস্বরুপ ডাকসু,জাকসু, চাকসু ও রাকসুতে আপনাদের শোচনীয় পরাজয় হয়েছে। সন্ত্রাস যে মোড়কেই আসুক আমরা প্রতিহত করবো। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সকল সংগ্রামে আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো।
বক্তব্যে মাইমুনুল ইসলাম মামুন বলেন, ৯০ শতাংশ মুসলমানের দেশে কুরআনের শিক্ষার প্রোগ্রামে হামলা করার সাহস পায় কি করে! যেখানে কুরআনের মাহফিল, কুরআন তালিম হয় সেখানেই ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা হামলা করছে। খুনি হাসিনা ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করে রেহাই পায় নি আপনারাও পাবেন না। আমরা সুযোগ দিবো কিন্তু দিবো না।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারী মোহাম্মদ পারভেজ, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এসময় শিবিরের নেতাকর্মীদের মুখে নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার,কুরআন তালিমে হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই, আমার ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না চাঁদাবাজের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না, ইত্যাদি স্লোগান ধ্বনিত হয়।