পাঁচ দফা দাবিতে এবার একসঙ্গে মাঠে নামছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল। জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করা সহ পাঁচ দফা দাবিতে তিন দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এসব দল। আগামী ২৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি মানা না হলে দেশব্যাপী বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে সংবাদ সম্মেলনে।
রোববার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘সমমনা রাজনৈতিক দলসমূহ’ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল; আগামী ২৫ অক্টোবর সব বিভাগীয় শহরে এবং ২৭ অক্টোবর সব জেলা শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করবে দলগুলো।
সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, জুলাই সনদে স্বাক্ষরের পর আমাদের আন্দোলনের কারণ হলো-জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আইন জারি ও এ গণভোটের বিষয়টি এতে লিখিত নেই।
তিনি বলেন, আমাদের আন্দোলনটা হবে নিয়মতান্ত্রিক ও গঠনমুলক। সরকার, ঐকমত্য কমিশন এবং দেশবাসীকে আমাদের দাবির বিষয়ে ম্যাসেজ দিতে চাই। সরকার সিদ্ধান্ত নিলে নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। তবে জাতীয় নির্বাচনের দিন কোনভাবেই গণভোট দেয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা অভিন্ন কর্মসূচি পালনের পর সময়ের দাবি অনুযায়ী যৌথভাবে কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছি। তবে এটা নির্বাচনি কোন জোট নয়, জোট গঠনের বিষয়ে কোন আলোচনা হয়নি। সময় বলে দেবে আমরা কোন দিকে যাব।
এ সময় ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ বলেন, দেশ ও জাতির স্বার্থে আমরা ধাপে ধাপে এগিয়ে যাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুফতি মুসা বিন ইজহার, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র প্রকৌশলী রাশেদ প্রধান এবং বাংলাদেশ ডেভলেপমেন্ট পার্টির জয়েন্ট সেক্রেটারি লস্কর মোহাম্মদ তাজরির সহ সব দলের শীর্ষ নেতারা।
পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো: আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে/উচ্চ কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সকলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সকল জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।