“বিএনপিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বিতর্কিত মোস্তাকের ভাইরাল ভিডিওতে মিরপুরে তোলপাড়” শিরোনামে অনলাইন গণমাধ্যম দ্য নিউজে ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত প্রতিবাদের পর সাংবাদিক মো. ইমরান খানকে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। গতকাল শনিবার (১৬ অক্টোবর) রাত ১০ টায় দ্য নিউজের চিফ রিপোর্টার ইমরান খানের বাবাকে ডেকে পল্লবী এলাকার মাদক কারবারি ও খুনের মামলার আসামিসহ স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাসীরা হামলার ভয় দেখায় এবং তার ছেলেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
এই বিষয়ে পল্লবী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাংবাদিক ইমরান।
জানতে চাইলে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের আমলে মোস্তাক ও তার ছেলেরা নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে। মানুষ খুনের মতো অপরাধও তারা ঘটিয়েছে। আমি নিজেও তাদের হামলার শিকার হয়ে দীর্ঘদিন আহত ছিলাম। ওই ঘটনায় মামলা করলেও ফ্যাসিস্ট এমপি ইলিয়াস মোল্লা ও কাউন্সিলর মানিক ওরফে বোমা মানিকের চাপে পরে তা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিলাম। মোস্তাক সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় তার ছেলেরা খুনের মতো ঘটনা ঘটালেও ফ্যাসিস্ট এমপি ইলিয়াস মোল্লা ও কাউন্সিলর মানিক ওরফে বোমা মানিক তাকে এবং তার ছেলেদের রক্ষা করতেন।
ইমরান আরও বলেন, কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করছিলাম , বিএনপি নামধারী কিছু অসাধু ও চাঁদাবাজ কর্মীদের সহায়তায় এই মোস্তাক ও তার সন্ত্রাসী ছেলেরা দলটিতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে। বিষয়টি জানার পর আমি তার অতীতের সকল অপকর্ম তুলে ধরে প্রতিবেদন লিখি, যা গত ১৬ অক্টোবর অনলাইন গণমাধ্যম দ্য নিউজে প্রকাশ করা হয়। এটি প্রকাশের পর তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে না পেয়ে আমার বাবার ওপর আক্রমণের চেষ্টা করে এবং আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
ঘটনার বর্ননা দিয়ে ইমরানের বাবা সাদাকাত খান ফাক্কু বলেন, আমি চা দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। তখন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর মোস্তাক আহমেদের ছেলে ফাইয়াজ, আতিক আহমেদ রাজু, পল্লবীর ফেন্সিডেল সম্রাট আসিফ আহমেদ মিস্টার, বিপ্লব হত্যা মামলার আসামি ইমতিয়াজ আহমেদ, মোস্তাকের ভাতিজা আরজু, আরিফ, ইমরান শেখ ও নান্টুসহ অন্তত ৫০জন আমাকে ডেকে নিয়ে বলে, আপনার সাথে ফাইয়াজ কথা বলবে। আমি তাদের ডাকে সাড়া না দিলে ফাইয়াজ ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা সামনে এগিয়ে এসে বলে, আপনার ছেলে তো অনেক বড় বেয়াদব সাংবাদিক হয়ে গেছে, তাকে সামলান নাহলে তাকে হারিয়ে ফেললে আফসোস করবেন। আমি প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে তারা আবারো বলে, শেষবার বলছি তাকে সামলাতে না পারলে একদম ফুটো করে ফেলব। বিষয়টি আমি আমার ছেলেকে জানালে সে থানায় জিডি করেছে।
সাংবাদিকরা বলছেন, এই ধরনের হুমকি তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাধা দিতে পারবে না। তবে সংবাদ কর্মীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সচেতন হবে। আমরা জনগণকে সত্য তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারব।
এই বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ নেতা মুশতাক ও তার ছেলে রাজুর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।