ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষি ব্যাংকের নতুন ঋণ পেলেন পৌনে দুই লাখ কৃষক

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম ১০ মাস জুলাই-অক্টোবরে ১১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই ঋণ পেয়েছেন ৮ লাখ ২৩ হাজার ১৪৩ জন গ্রাহক। এর মধ্যে কৃষিঋণ ৬ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা, যা পেয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন নতুন কৃষক। একই সময়ে সার্বিকভাবে কৃষকদের ঋণ পরিশোধও ভালো ছিল, যা পরিমাণে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।

কৃষি খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত এই ব্যাংক জন্মের পর থেকে আর্থিক সংকটে ধুঁকছে। ধারাবাহিকভাবে লোকসান করে গেছে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন ব্যাংকটিকে ভর্তুকি সুদে কৃষিঋণ দিতে হয়। আবার আমানত সংগ্রহ করতে হয় অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক সুদে।

এর ওপর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে সুদ মওকুফ করতে হয়। এ ছাড়া পোশাক খাতে বড় অঙ্কের ঋণ আটকে আছে। ব্যাংকটি এখন চলছে অর্ধেক জনবল নিয়ে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কোনো কোনো শাখা চালানো হচ্ছে তিন-চারজন কর্মকর্তা দিয়ে। ফলে ঋণের ক্ষেত্রে যথাযথ তদারকিও করা যাচ্ছে না।

গত মে মাসে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন শওকত আলী খান। তিনি বলেন, সমস্যা আছে, এসব নিয়ে চলতে হবে। প্রতিটি শাখায় নতুন জনবল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকেরা যাতে জটিলতা ছাড়াই সঠিক সময়ে ঋণ পান, সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষকেরা নতুন করে ঋণ পাচ্ছেন। এসব ঋণ আদায়ের হারও ভালো। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর ছাড়, কমবে দাম

কৃষি ব্যাংকের নতুন ঋণ পেলেন পৌনে দুই লাখ কৃষক

আপডেট সময় ০৩:২৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম ১০ মাস জুলাই-অক্টোবরে ১১ হাজার ২০৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এই ঋণ পেয়েছেন ৮ লাখ ২৩ হাজার ১৪৩ জন গ্রাহক। এর মধ্যে কৃষিঋণ ৬ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা, যা পেয়েছেন ১ লাখ ৭১ হাজার ১৪৫ জন নতুন কৃষক। একই সময়ে সার্বিকভাবে কৃষকদের ঋণ পরিশোধও ভালো ছিল, যা পরিমাণে সাড়ে ৯ হাজার কোটি টাকা।

কৃষি খাতে অর্থায়নের ক্ষেত্রে বিশেষায়িত এই ব্যাংক জন্মের পর থেকে আর্থিক সংকটে ধুঁকছে। ধারাবাহিকভাবে লোকসান করে গেছে। এর পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। যেমন ব্যাংকটিকে ভর্তুকি সুদে কৃষিঋণ দিতে হয়। আবার আমানত সংগ্রহ করতে হয় অন্যান্য ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক সুদে।

এর ওপর বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ে সুদ মওকুফ করতে হয়। এ ছাড়া পোশাক খাতে বড় অঙ্কের ঋণ আটকে আছে। ব্যাংকটি এখন চলছে অর্ধেক জনবল নিয়ে। ইউনিয়ন পর্যায়ে কোনো কোনো শাখা চালানো হচ্ছে তিন-চারজন কর্মকর্তা দিয়ে। ফলে ঋণের ক্ষেত্রে যথাযথ তদারকিও করা যাচ্ছে না।

গত মে মাসে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে যোগ দেন শওকত আলী খান। তিনি বলেন, সমস্যা আছে, এসব নিয়ে চলতে হবে। প্রতিটি শাখায় নতুন জনবল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি কৃষকেরা যাতে জটিলতা ছাড়াই সঠিক সময়ে ঋণ পান, সেই উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। ফলে কৃষকেরা নতুন করে ঋণ পাচ্ছেন। এসব ঋণ আদায়ের হারও ভালো। দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ রাখতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।