পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
শনিবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানী ইসলামাবাদের একটি আদালতে মামলাটি করেন বুশরার সাবেক স্বামী খাওয়ার মানেকা। গত সপ্তাহের শুরুতে মানেকা অভিযোগ করেন, বুশরার সঙ্গে তাঁর বিবাহিত জীবন নষ্ট করার জন্য ইমরান দায়ী ছিলেন।
মানেকার এ অভিযোগের কঠোর সমালোচনা করেন ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা।
মামলায় ইমরান-বুশরার বিরুদ্ধে পাকিস্তান দণ্ডবিধির ৩৪,৪৯৬ ও ৪৯৬ (খ) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণামূলক বিয়ে ও ব্যভিচারের ধারা রয়েছে।
শুনানি নিয়ে আদালত মামলায় উল্লেখিত তিন সাক্ষীর প্রতি নোটিশ জারি করেছেন। তাঁরা হলেন ইস্তেখাম-ই-পাকিস্তান পার্টির সদস্য আউন চৌধুরী, নিকাহ পরিচালনাকারী মুফতি মুহাম্মদ সাঈদ ও মানেকার বাড়ির কর্মচারী লতিফ। তাঁদের ২৮ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুশরার প্রথম স্বামী ছিলেন মানেকা। ১৯৮৯ সালে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল। মানেকা তাঁর অভিযোগে বলেছেন, তিনি ২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর বুশরাকে তালাক দেন। ইদ্দতকাল (অপেক্ষার সময়কাল) শেষ হওয়ার আগেই ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন ইমরান ও বুশরা। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁরা আবার বিয়ে করেন।
মানেকার অভিযোগ, বুশরাকে তালাক দেওয়ার আগে তাঁর (মানেকা) বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া-আসা করতেন পিটিআইপ্রধান। তাঁর (মানেকা) অনুপস্থিতিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা তাঁর বাড়িতে ইমরান অবস্থান করতেন, যা শুধু অনাকাঙ্ক্ষিতই নয়, অনৈতিকও ছিল। আদালতের কাছে মানেকা আরজি জানিয়েছেন, ন্যায়বিচারের স্বার্থে আইন অনুযায়ী ইমরান ও বুশরাকে তলব করা হোক। তাঁদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
গত ৫ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন ইমরান। তাঁর বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা আছে।