ঢাকা ০৯:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মিশর সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সাক্ষর

 

মিশরের শারম আল-শেখে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঐতিহাসিক গাজা শান্তিচুক্তিটি সই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘দ্য বিগেস্ট ডিল’ বা ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’ হিসেবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, যিনি দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করলেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ সোমবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উৎসব সিমখাত তোরাহ। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

শান্তি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় মিশরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে, যেখানে প্রায় ৩৫ জন বিশ্বনেতা অংশ নেন। গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়।

সম্মেলনের শুরুতে ট্রাম্প একে একে আগত নেতাদের শুভেচ্ছা জানান। তারা শান্তি-২০২৫ লেখা বিশাল ব্যাকড্রপের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন, কয়েকটি সংক্ষিপ্ত কথা বলেন এবং ছবি তোলেন। এরপর সবাইকে একত্রে নিয়ে একটি ঐতিহাসিক গ্রুপ ফটো তোলা হয়। ছবিতে ট্রাম্প, মাহমুদ আব্বাস, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ অনেক আরব ও ইউরোপীয় নেতাকে দেখা যায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, যদি নেতানিয়াহু সম্মেলনে যোগ দেন, তাহলে অনেক মুসলিম নেতা বয়কট করবেন। এই কারণেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

চুক্তি সইয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমরা শুধু এক যুদ্ধের অবসান ঘটালাম না-আমরা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচনা করলাম। এটি ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’, যা শান্তির নতুন ভোর এনে দেবে।’ বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি কার্যকর হলে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পুনর্গঠনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সফরে আসতে চান ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট

মিশর সম্মেলনে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গাজা শান্তিচুক্তি সাক্ষর

আপডেট সময় ০৬:৩৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫

 

মিশরের শারম আল-শেখে বিশ্বের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে গতকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) ঐতিহাসিক গাজা শান্তিচুক্তিটি সই হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তিকে আখ্যা দিয়েছেন ‘দ্য বিগেস্ট ডিল’ বা ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’ হিসেবে।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস, যিনি দীর্ঘদিন পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি সাক্ষাৎ করলেন। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শেষ মুহূর্তে উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান, কারণ সোমবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ইহুদি ধর্মাবলম্বীদের উৎসব সিমখাত তোরাহ। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

শান্তি সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় মিশরের উপকূলীয় শহর শারম আল-শেখে, যেখানে প্রায় ৩৫ জন বিশ্বনেতা অংশ নেন। গাজায় দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে এ চুক্তি সই হয়।

সম্মেলনের শুরুতে ট্রাম্প একে একে আগত নেতাদের শুভেচ্ছা জানান। তারা শান্তি-২০২৫ লেখা বিশাল ব্যাকড্রপের সামনে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে করমর্দন করেন, কয়েকটি সংক্ষিপ্ত কথা বলেন এবং ছবি তোলেন। এরপর সবাইকে একত্রে নিয়ে একটি ঐতিহাসিক গ্রুপ ফটো তোলা হয়। ছবিতে ট্রাম্প, মাহমুদ আব্বাস, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানসহ অনেক আরব ও ইউরোপীয় নেতাকে দেখা যায়।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান জানিয়েছিলেন, যদি নেতানিয়াহু সম্মেলনে যোগ দেন, তাহলে অনেক মুসলিম নেতা বয়কট করবেন। এই কারণেই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত সফর বাতিল করেন বলে কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে।

চুক্তি সইয়ের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আজ আমরা শুধু এক যুদ্ধের অবসান ঘটালাম না-আমরা মধ্যপ্রাচ্যের জন্য এক নতুন ইতিহাস রচনা করলাম। এটি ‘সবচেয়ে বড় চুক্তি’, যা শান্তির নতুন ভোর এনে দেবে।’ বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি কার্যকর হলে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক পুনর্গঠনের পথ উন্মুক্ত হতে পারে।