২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা। এ দাবিতে আজ রবিবার রাতেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান করবেন তারা।
আজ রবিবার (১২ অক্টোবর) রাতে এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন আজিজী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাতে শহীদ মিনারে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আগামীকাল থেকে যে কর্মবিরতি সেটিও করা হবে।
আগামীকাল সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে দেশের সব এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করবেন শিক্ষকরা। দাবি না মানা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি চলমান রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
এদিকে বিকেলে শিক্ষকদের আন্দোলনে সংহতি জানান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, শিক্ষকদের রাস্তায় যেভাবে পেটানো হয়েছে এটা কোনও সভ্য রাষ্ট্রে হতে পারে না। এ সময় তিনি পুলিশ হেফাজতে নেওয়া শিক্ষকদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানান।
অন্যদিকে সামান্তা শারমিন বলেছেন, এ ইন্টেরিম গভর্মেন্টও আজ দেশের মানুষের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেছে। তারা দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে।
সামান্তা শারমিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে আমাদের দেশের ছাত্র-জনতা, শিক্ষক-চিকিৎসকসহ নানান পেশার মানুষেরা তাদের রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে সরকারের বসিয়েছে। কিন্তু খবর পেলাম তারা নাকি ৩০০ কোটি টাকা দিয়ে কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ে গাড়ি কিনছেন। অথচ শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়ানোর কথা বললেই তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় সরকারের টাকা নেই।
এর আগে রবিবার সকাল থেকেই ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭৫ শতাংশ করার দাবিতে হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন। পরে দুপুরে প্রেস ক্লাব এলাকা থেকে শিক্ষক নেতাদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে শিক্ষকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। অনেকেই আবার প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করেন।