ঢাকা ১১:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ

  • রেজা
  • আপডেট সময় ০৮:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • 50

৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার এবং মুসল্লিদের সহায়তায় চট্টগ্রামের প্রাচীনতম আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন এবং আইকনিক মসজিদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই লক্ষ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।ওই টাকার ওপর নির্ভর করে চট্টগ্রামের সব গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের থেকে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে এই আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন- চট্টগ্রামের মানুষের মন অনেক বড়, আশা করি সবার সহযোগিতায় আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদকে আইকনিক মসজিদে রূপান্তর করতে কষ্ট হবে না। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মসজিদ নির্মাণে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন তা সাধ্যমত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মসজিদে আমি ছোটকাল থেকে নামাজ পড়ি। তাই এই মসজিদের প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে। আমরা যদি আমাদের ওআইসিভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশকে এই প্রজেক্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি আমরা আশা করি তাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাব। সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।

মসজিদের ডিজাইন দৃষ্টিন্দন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, নির্মিত মসজিদে একসাথে ১৪ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে, বিপণিকেন্দ্র থাকবে, মিলনায়তন থাকবে, খাদেম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আবাসন সুবিধাসহ নানা সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এখানে দুটি সমস্যা আছে। মসজিদের জায়গা বেদখল এবং এটিকে সরকার বিশ্ব ঐতিহ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে আমরা এটিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। তাই এ মসজিদের কাঠামো বিদ্যমান রেখে আমাদের নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। এই মসজিদ যদি নামাজ পড়ার অনুপযুক্তও হয়ে যায় বাঁশ দিয়ে হলেও এটিকে রক্ষা করতে হবে। কোন মতেই এটি ভেঙে ফেলা যাবে না। এটাকে অক্ষুণ্ন রেখে যাতে মুসল্লিরা ইমাম সাহেবকে দেখে নামাজ আদায় করতে পারে সেভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। এতে করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজও রক্ষা পাবে মসজিদের সৌন্দর্যও বাড়বে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল্লাহ নুরী, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরি আল মাদানি, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক ও মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

১৭ বছর আন্দোলন করেছি বাসস্ট্যান্ড দখলের জন্য নয়: ইশরাক

৩০০ কোটি টাকা বরাদ্দে আইকনিক হচ্ছে আন্দরকিল্লা মসজিদ

আপডেট সময় ০৮:৩১:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার এবং মুসল্লিদের সহায়তায় চট্টগ্রামের প্রাচীনতম আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদকে দৃষ্টিনন্দন এবং আইকনিক মসজিদ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সেই লক্ষ্যে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে।

রোববার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নগরের আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের পুনর্নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ নির্মাণের জন্য প্রথম পর্যায়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ১০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।ওই টাকার ওপর নির্ভর করে চট্টগ্রামের সব গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের থেকে তহবিল সংগ্রহের মাধ্যমে এই আইকনিক মসজিদ নির্মাণের কাজ সম্পন্ন করা হবে।

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন- চট্টগ্রামের মানুষের মন অনেক বড়, আশা করি সবার সহযোগিতায় আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদকে আইকনিক মসজিদে রূপান্তর করতে কষ্ট হবে না। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মসজিদ নির্মাণে যতটুকু সহায়তা প্রয়োজন তা সাধ্যমত করা হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মসজিদে আমি ছোটকাল থেকে নামাজ পড়ি। তাই এই মসজিদের প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে। আমরা যদি আমাদের ওআইসিভুক্ত মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিভিন্ন সংস্থা এবং দেশকে এই প্রজেক্ট সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারি আমরা আশা করি তাদের কাছ থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাব। সেজন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য সহায়তা করা হবে।

মসজিদের ডিজাইন দৃষ্টিন্দন হয়েছে উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, নির্মিত মসজিদে একসাথে ১৪ হাজার মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবে। প্রতিবন্ধীদের জন্য নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা থাকবে, বিপণিকেন্দ্র থাকবে, মিলনায়তন থাকবে, খাদেম-মুয়াজ্জিনদের জন্য আবাসন সুবিধাসহ নানা সুবিধা বিদ্যমান থাকবে। এখানে দুটি সমস্যা আছে। মসজিদের জায়গা বেদখল এবং এটিকে সরকার বিশ্ব ঐতিহ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের আওতাভুক্ত করেছে। কিন্তু অপরিকল্পিত স্থাপনার কারণে আমরা এটিকে বাইরে থেকে দেখতে পাই না। তাই এ মসজিদের কাঠামো বিদ্যমান রেখে আমাদের নতুন করে মসজিদ নির্মাণ করতে হবে। এই মসজিদ যদি নামাজ পড়ার অনুপযুক্তও হয়ে যায় বাঁশ দিয়ে হলেও এটিকে রক্ষা করতে হবে। কোন মতেই এটি ভেঙে ফেলা যাবে না। এটাকে অক্ষুণ্ন রেখে যাতে মুসল্লিরা ইমাম সাহেবকে দেখে নামাজ আদায় করতে পারে সেভাবে মসজিদ নির্মাণ করা হবে। এতে করে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজও রক্ষা পাবে মসজিদের সৌন্দর্যও বাড়বে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মসজিদ মুসল্লি কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার নুরুল্লাহ নুরী, আন্দরকিল্লা শাহি জামে মসজিদের খতিব আল্লামা সাইয়েদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরি আল মাদানি, দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক ও মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন কাশেম খান।