বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের বন্দিদশা থেকে প্রায় এক বছর পর মুক্তি পেল ৯টি ছাগল। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাগলগুলোকে তাদের মালিকের কাছে তুলে দেন সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। এ সময় সড়ক পরিদর্শক রেজাউল কবির ও ইমরান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ছাগলগুলোর মালিক শাহরিয়ার সাচিব রাজিব বলেন, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর অসাবধানতাবশত আমার খামারের ছাগলগুলো মুসলিম গোরস্থানে ঢুকে ঘাস ও লতাপাতা খায়। খবর পেয়ে সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নির্দেশে আমার ১৫টি ছাগল আটক করে নিয়ে যায়। ছাগল ফিরে পেতে সিটি কর্পোরেশনে দফায় দফায় আবেদন করলেও সাদিক আব্দুল্লাহর ওই পরিষদ ছাগলগুলো আমাকে ফেরত দেয়নি। আইন অনুযায়ী ছাগলগুলোকে সর্বোচ্চ এক দিন আটক রাখতে পারে। কিন্তু বিধান ভেঙে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার খামারের ছাগলগুলোকে আটকে রাখে প্রায় এক বছর।
তিনি আরও বলেন, সিটি কর্পোরেশনের দেখভালের অভাবে ইতোমধ্যে ৬টি ছাগল নেই। আমি ফেরত পেয়েছি ৯টি। বাকি ছাগলগুলো কি করেছে তাও জানি না। ওই সময়ে সিটি কর্পোরেশনের এমন সিদ্ধান্তের কারণে আমার ছাগলের খামার বন্ধ হয়ে যায় এবং এতে বিশাল লোকসানে পড়ি। আমার সঙ্গে নগর কর্তৃপক্ষ এমন আইনবহির্ভূত আচরণ করায় আমি আইনের আশ্রয় নেব।
শাহরিয়ার সাচিব রাজিব জানান, নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ দায়িত্ব গ্রহণের পর ছাগলগুলো ফিরে পাওয়ার জন্য আবেদন করলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
জানা গেছে, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীমের অনুসারী ছাগলের খামার মালিক শাহরিয়ার সাচিব রাজিব। বিভিন্ন উপায়ে সাদিক আব্দুল্লাহর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার চাপ প্রয়োগ করে ব্যর্থ হলে ছাগলগুলো ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারী দিয়ে। বিধান ভেঙে ছাগলগুলোকে আটকে রাখে নগর কর্তৃপক্ষ।