ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ও হল সংসদ নির্বাচনে নীলক্ষেতের প্রেসে ব্যালট ছাপানো নিয়ে বিতর্কের মধ্যে নতুন তথ্য দিলেন ফেরদৌস ওয়াহিদ। তিনি দাবি করেছেন, জালাল প্রেসে যে ব্যালট ছাপানো হয়েছে সেগুলো কোনোভাবেই চূড়ান্ত ব্যালট নয়, বরং কেবল প্রাথমিক প্রিন্টিং।
ওয়াহিদের ভাষায়, “জালাল প্রেস যেগুলো ছাপিয়েছে, সেগুলো মেশিনে রিড করবে না। এগুলো শুধু ব্যালট সদৃশ কাগজ। আমাদের অফিসে এনে কয়েক ধাপ প্রক্রিয়ার পর প্রি-স্ক্যান করে চূড়ান্তভাবে ব্যবহারযোগ্য করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, প্রি-স্ক্যানের পরই এসব ব্যালট প্যাকেট করা হয়। পুরো কাজটি মূলত পেয়েছিল আনজা কর্পোরেশন। তার প্রতিষ্ঠান কেবল সহযোগিতামূলকভাবে কিছু কাজ করেছে।
তবে এ প্রসঙ্গে ব্যালটের সংখ্যা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, “জালাল প্রেসে ৯৬ হাজার ব্যালট ছাপানো হয়েছে—এটা সঠিক নয়। আমাদের প্রয়োজন ছিলো প্রায় ৮৬ হাজার ব্যালট। সে জন্য ২২ রিম কাগজে প্রিন্ট দিয়েছিলাম, যেটা সাধারণত ৮৮ হাজার হয়। তবে নষ্ট কাগজ বাদ দিলে প্রকৃত সংখ্যা কমে যায়।”