আজ শুক্রবার স্থানীয় সময় ১১-১২টার মধ্যে জাতিসংঘে ৮০তম অধিবেশনের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। গ্যালারিতে অংশগ্রহণ করবেন বিএনপি, জামায়াত এবং এনসিপির ৬ জন নেতা।
প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের পাশের রাস্তাগুলোতে অবস্থান করবেন বিএনপির হাজারখানেক নেতাকর্মী।
বিএনপি সূত্র জানায়, ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে নেতাকর্মীরা নিউইয়র্কে এসে অবস্থান করছেন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বের একজন সমাদৃত ব্যক্তি। তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় আমরা গর্বিত। তাকে স্বাগত জানানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুক্রবার আমরা অন্তত এক হাজার লোক নিয়ে স্বাগত জানাব।
ক্যালিফোর্নিয়া বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাডভাইজার কমিটির সদস্য বদরুল আলম চৌধুরী শিপলু বলেন, আমরা ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ১৫ জন এসেছি। এছাড়া নিউইয়র্কের আমাদের অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী স্বাগত সমাবেশে অংশ নেবেন। তিনি বলেন, ক্যালিফোর্নিয়া নিউইয়র্ক থেকে তিন হাজার মাইল দূরত্ব হওয়ায় বেশি নেতাকর্মী আসতে পারেনি। তবে নিউইয়র্ক এবং এর আশপাশের প্রদেশ থেকে প্রচুর নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাডভাইজার কমিটির সদস্য গোলাম ফারুক শাহিন বলেন, জাতিসংঘ সদর দপ্তর নিউইয়র্কে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার নেতাকর্মীরাই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক অংশ নেবেন। বাইরের প্রদেশের নেতাকর্মীদের আমরা অভ্যর্থনা জানাচ্ছি।
“যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতাকর্মী স্বতঃস্ফূর্তভাবে আগামীকালের স্বাগত সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন। আমরা ড. ইউনূসসহ বিএনপির নেতাদের সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করব।”
নিউইয়র্ক স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাদল মীর্জা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বাংলাদেশি তরুণরা খুবই উৎফুল্ল। অসংখ্য তরুণ আগামীকালের কাজ বাদ দিয়ে স্বাগত সমাবেশে অংশ নেবেন। আমরা একসঙ্গে অন্তত ১০০ তরুণ উপস্থিত থাকব।
বিএনপির এক নেতা বলেন, ২২ তারিখে বিএনপি মহাসচিবের প্রটোকল ঠিক না থাকায় দেশে-বিদেশে নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবারের স্বাগত সমাবেশে প্রচুর উপস্থিতি দেখিয়ে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।