চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির প্রথম দিনে ১৩ ইসরায়েলি জিম্মিকে ছেড়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। শ্রুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে এসব জিম্মিকে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা রেডক্রসের হাতে তুলে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের এখন মিশরের রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। সেখানে তাদের বরণ করে নেবে ইসরায়েলি কর্মকর্তারা।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, চারদিনে ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। বিরতির প্রথমদিন মুক্তি পাবেন ১৩ জন। চুক্তির শর্ত মেনে, ১৩ ইসরায়েলি নারী-শিশুকে ছেড়ে দিল হামাস।
টাইমস অব ইসরায়েলকে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা বলেছেন, মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের অ্যাম্বুলেন্সে করে গাজার খান ইউনিস থেকে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে। মুক্তি পাওয়া ইসরায়েলিদের পরিবারকে আগে থেকেই জানানো হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা এখন হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন। সেখান থেকেই জিম্মিদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের বিভিন্ন অবৈধ বসতিতে হামলা চালিয়ে ২৪০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে গাজায় ধরে নিয়ে যায় হামাস। এছাড়া ওইদিন কয়েকশ ইসরায়েলিকে হত্যাও করে তারা।
মানবতার দিক বিবেচনা করে তাদের মধ্যে দুই ধাপে ৪ জনকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। এখন মুক্তি দেওয়া হলো আরও ১৩ জনকে। আগামী তিনদিনে হামাসের কাছ থেকে ছাড়া পাবেন আরও ৩৭ ইসরায়েলি। তাছাড়া শুক্রবার শুধুমাত্র ১৩ ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও, আশ্চর্য্যজনকভাবে ১২ থাই নাগরিককেও মুক্তি দিয়েছে হামাস।
অন্যদিকে, চুক্তি অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির চারদিনে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। এরই মধ্যে ৩৯ জনকে কারাগার থেকে বের করে নিয়ে আসা হয়েছে।