ঢাকা ১০:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত আত্মস্বীকৃত বেইমান, চরমোনাই পীর ভন্ড: এ্যানি

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করেছেন যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সময়ে সরকারের স্থায়িত্ব বাড়াতে সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এই পাখা মার্কা ছিল বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত।’

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আউটার স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এ্যানি বলেন, ‘চরমোনাই পীর, পীর নয়, ভণ্ড।’

তিনি আরও বলেন, যখন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, তখন ইসলামী আন্দোলনকে পাশে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘১৭ বছর আমরা যখন লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, তখন তো আমরা এই পাখা মার্কাকে পাইনি।’

জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াত ইসলামীর ভূমিকা এবং তারা ৮৬ ও ৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদেরকে অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে।’ তিনি জামায়াতকে ‘জাতীয় বেইমান’ এবং ‘আত্মস্বীকৃত বেইমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এ্যানি বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব দেন, যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির নেতৃবৃন্দ উচ্চকক্ষে আসন গ্রহণ করবেন।

সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্যাহ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামে হ্যান্ডকাফ হাতে লুঙ্গি খুলে পালালো যুবলীগ নেতা

জামায়াত আত্মস্বীকৃত বেইমান, চরমোনাই পীর ভন্ড: এ্যানি

আপডেট সময় ০৮:৩৭:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি অভিযোগ করেছেন যে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং জামায়াতে ইসলামী বিভিন্ন সময়ে সরকারের স্থায়িত্ব বাড়াতে সহযোগিতা করেছে। তিনি বলেন, ‘১৭ বছর ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন হাসিনাকে স্থায়িত্ব দিয়েছিল। ২০১৪, ১৮ ও ২৪ এর নির্বাচনে হাসিনাকে সহযোগিতা করে হাসিনার স্থায়িত্ব বাড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে এই চরমোনাই পীর, এই ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন, এই পাখা মার্কা ছিল বাংলাদেশের মানুষের আরেকটি জাতীয় বেইমান হিসেবে চিহ্নিত।’

সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আউটার স্টেডিয়ামে সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। এ্যানি বলেন, ‘চরমোনাই পীর, পীর নয়, ভণ্ড।’

তিনি আরও বলেন, যখন বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে, তখন ইসলামী আন্দোলনকে পাশে পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, ‘১৭ বছর আমরা যখন লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি, তখন তো আমরা এই পাখা মার্কাকে পাইনি।’

জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনা করে এ্যানি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি নিয়ে জামায়াত ইসলামীর ভূমিকা এবং তারা ৮৬ ও ৯৬ সালে বিভিন্নভাবে শুধু আমাদেরকে অসহযোগিতা করে নাই, পুরো জাতিকে অসহযোগিতা করেছে।’ তিনি জামায়াতকে ‘জাতীয় বেইমান’ এবং ‘আত্মস্বীকৃত বেইমান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এ্যানি বলেন, তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি ‘জাতীয় ঐকমত্যের সরকার’ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি একটি দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্টের প্রস্তাব দেন, যেখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণির নেতৃবৃন্দ উচ্চকক্ষে আসন গ্রহণ করবেন।

সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির আহ্বায়ক মাইন উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবি উল্যাহ। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন আবুল খায়ের ভূঁইয়া।

সদর উপজেলা পূর্ব বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ মোহাম্মদ এমরান ও সদস্য সচিব মোখলেছুর রহমান হারুনের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি প্রমুখ।