হল সংসদ নির্বাচনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ মুজিবুর রহমান হলের শহীদ স্মৃতি ভবনে হল সংসদের ভিপি ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৈদ্যুতিক ফ্যান লাগানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।
গতকাল শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান হল প্রশাসন ও ছাত্র সংসদের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে ১১ তলার ১১০১ নম্বর কক্ষে প্রথম ফ্যান লাগানোর মধ্য দিয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।ধাপে ধাপে নতুন ভবনের মোট ২৫২টি কক্ষে ৫০৪টি ফ্যান লাগানো হবে বলে জানানো হয়।
হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গত বছরের ডিসেম্বরে ফ্যান লাগানোর দাবি জানানোর পর প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বরাদ্দের জন্য আবেদন করে। একইসঙ্গে পুরাতন ভবনের জন্য ফ্যান, খাট, চেয়ার, টেবিল, লকার, টেবিল ল্যাম্প ও দরজাসহ আসবাবপত্র চাওয়া হয়। এর মধ্যে ইতোমধ্যে পুরাতন ভবনের জন্য ১০০টি চেয়ার, ১০০টি টেবিল ও ৫০টি খাটের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গত বছরের ডিসেম্বরে ফ্যান লাগানোর দাবি জানানোর পর প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বরাদ্দের জন্য আবেদন করে। একইসঙ্গে পুরাতন ভবনের জন্য ফ্যান, খাট, চেয়ার, টেবিল, লকার, টেবিল ল্যাম্প ও দরজাসহ আসবাবপত্র চাওয়া হয়। এর মধ্যে ইতোমধ্যে পুরাতন ভবনের জন্য ১০০টি চেয়ার, ১০০টি টেবিল ও ৫০টি খাটের অনুমোদন পাওয়া গেছে।
হল সংসদের এজিএস মুশফিক তাজওয়ার মাহির বলেছেন, ফ্যানের অভাবে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ভোগান্তিতে ছিল। সাধারণত সিন্ডিকেট মিটিংয়ের পর ফ্যান পাওয়ার কথা ছিল, তবে প্রশাসনের বিশেষ অনুমোদনে কাজটি এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে আমরা সহযোগিতার ভূমিকা রাখছি।
শেখ মুজিবুর রহমান হল সংসদের ভিপি মুসলিমুর রহমান জানান, শিক্ষার্থীরা আশা করেছিল নতুন ভবন উদ্বোধনের সময়ই ফ্যান থাকবে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় টেন্ডার পাশ হতে ৫-৬ মাস লেগে যায়। বারবার তাগাদা দেওয়ার পর অবশেষে বিষয়টি বাস্তবায়নের পথে এসেছে। শিক্ষার্থীদের দাবি এবং প্রশাসনের উদ্যোগ মিলেই এই কাজটি সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবিও জানানো হয়েছে।
প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট থেকে শহীদ স্মৃতি ভবনের ২৫২টি কক্ষে ৫০৪টি ফ্যান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ৪৮২টি ফ্যান এসে পৌঁছেছে, বাকি ২২টি রোববার পাওয়া যাবে। যদিও সিন্ডিকেটের অনুমোদন এখনো হয়নি, তবে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন বিবেচনায় বিশেষ অনুমতিতে কাজ এগিয়ে চলছে। দ্রুতই সব ফ্যান লাগানো শেষ হবে।
তিনি জানান, পুরাতন ভবন ও এসি-সংক্রান্ত উন্নয়ন কাজও একসঙ্গে চলমান রয়েছে এবং খুব শিগগির শিক্ষার্থীরা এর সুফল পাবেন।