ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মৌলভীবাজারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আটক Logo ৭ গোলের থ্রিলার ম্যাচ, এমবাপের হ্যাটট্রিকও রিয়ালকে বাঁচাতে পারেনি বার্সার থেকে Logo নির্বাচনের আগে বিচার ও মৌলিক সংস্কারকাজ শেষ করতে হবে: নাহিদ ইসলাম Logo জুলাই ঐক্যের ঘোষণা: “আওয়ামী লীগসহ সকল সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ করতে হবে” Logo বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পেয়ে গায়ে পেট্রোল ঢেলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা Logo আ.লীগের কার্যক্রম বন্ধের সিদ্ধান্তে আমরা আনন্দিত: ফখরুল Logo ভুটানকে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ Logo আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে কুষ্টিয়ায় জামায়াতের শুকরানা সমাবেশ অনুষ্ঠিত Logo আ. লীগ নিষিদ্ধ: গরু জবাই করে খাওয়াচ্ছেন ‘শিশুবক্তা’ মাদানী Logo নাটোরে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের খুশিতে জামায়াতের শোকরানা মিছিল

বাংলাদেশ-ভারতের বৈঠক: বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে আলোচনা

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 270

বাংলাদেশ-ভারতের বৈঠক: বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে আলোচনা

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নেতৃত্বের অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা এ আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এফওসি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত আলোচনার জন্য একটি মূল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। বৃহত্তর সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর জোর দেন দুই দেশের সচিব।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘জি২০ লিডারস সামিট’-এ যোগদানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। উভয় পররাষ্ট্র সচিব বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ২০২৩ সালের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা সংযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধরনের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাস্তব ফলাফল প্রতিফলিত করে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেন। এরমধ্যে তিস্তা চুক্তি এবং অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তি, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব তার প্রতিপক্ষকে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও গভীর ও প্রসারিত করার অনুরোধ জানান। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহায়তাও চেয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী হিসেবে অভিহিত করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সাউথ এবং জি-২০ এর ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নেতৃত্বের অঙ্গীকারের আশ্বাস দেন। তিনি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন।

পরের রাউন্ড ফরেন অফিস কনসালটেশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র সচিব ২৫ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মৌলভীবাজারে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা আটক

বাংলাদেশ-ভারতের বৈঠক: বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও সীমান্ত নিয়ে আলোচনা

আপডেট সময় ০৯:৪০:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নেতৃত্বের অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউজে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা এ আশ্বাস দেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এফওসি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত আলোচনার জন্য একটি মূল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে। বৃহত্তর সমৃদ্ধির জন্য সহযোগিতা আরও গভীর করার ওপর জোর দেন দুই দেশের সচিব।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের জি২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে একমাত্র দক্ষিণ এশিয়ার নেতা হিসেবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘জি২০ লিডারস সামিট’-এ যোগদানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান। উভয় পররাষ্ট্র সচিব বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ২০২৩ সালের অগ্রগতির বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দুই প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা সংযোগ এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধরনের সহযোগিতা শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বাস্তব ফলাফল প্রতিফলিত করে।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেন। এরমধ্যে তিস্তা চুক্তি এবং অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তির প্রাথমিক সমাপ্তি, বাংলাদেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা দূর করা এবং দুই দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব তার প্রতিপক্ষকে জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও গভীর ও প্রসারিত করার অনুরোধ জানান। তিনি রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভারতের সহায়তাও চেয়েছেন।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী হিসেবে অভিহিত করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সাউথ এবং জি-২০ এর ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে নেতৃত্বের অঙ্গীকারের আশ্বাস দেন। তিনি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন।

পরের রাউন্ড ফরেন অফিস কনসালটেশন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। পররাষ্ট্র সচিব ২৫ নভেম্বর ঢাকায় ফিরবেন।