ঢাকা ০৯:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা Logo ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও দুর্নীতিবাজদের জায়গা থাকবে না’ Logo ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বিশ্ব গড়তে প্রধান উপদেষ্টার ৬ প্রস্তাবনা Logo বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম Logo পুলিশ ফ্যাসিবাদী কায়দায় শিক্ষকদের ওপর হামলা করেছে-সাদিক কায়েম Logo শাজাহানপুরে সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় শ্রমিকলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo বগুড়ায় খাস জমি দখলে আ’মী লীগ নেতা, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা Logo আমরা উচ্চকক্ষে পিআরের পক্ষে, নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নই- জামালপুরে সারজিস আলম Logo এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল ১৬ অক্টোবর,যে ভাবে দেখবেন Logo ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে “সমাবর্তন” অনুষ্ঠান

দলীয় প্রতিপক্ষের মারপিটের শিকার, ক্ষোভে বিষপানে আত্মহনন বিএনপি নেতার

দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে মারপিটের শিকার হয়ে ক্ষোভে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন খুলনা পাইকগাছা পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন (৪৪)। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে খুলনার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদ গ্রুপের অনুসারী হিসেবে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সেলিম রেজা লাকী।

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত এনামুল হকের অনুসারী সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আসলাম পারভেজ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ। নিহত মোশারফ মজিদ গ্রুপের কর্মী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লাকির সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সেলিম রেজা লাকি বলেন, সম্মেলনের দিন বিকেল ৩টার দিকে পৌর বিএনপির একজন নেতা মোশারফকে গালিগালাজ ও মারপিট করেন। আগেও তাকে অনেকবার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এজন্য অপমানে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, পারিবারিক বিষয়ে মনোকষ্টে তিনি বিষ পান করেছিলেন। তবে তার ওপর হামলা ও অপমান করার প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারছিনা।’

নিহত মোশারফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন সুমন বলেন, ‘মোশারফ দলকে ভালোবাসতেন।

তেমনি প্রচণ্ড আবেগী ছিলেন। তাকে শারীরিকভাবে মারপিট করায় অপমানিত হন। রাতেও অনেক সময় কথা হয়। কিন্ত সে ছিল নীরব। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার মেয়ে ফোন করে জানায় আব্বু বিষ খেয়েছে।

তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আইসিইউ না পাওয়ায় গাজী মেডিক্যালে আনা হয়েছিল।’

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বর্নের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ২১৩৭১৯ টাকা

দলীয় প্রতিপক্ষের মারপিটের শিকার, ক্ষোভে বিষপানে আত্মহনন বিএনপি নেতার

আপডেট সময় ০৯:২২:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

দলীয় প্রতিপক্ষের হাতে মারপিটের শিকার হয়ে ক্ষোভে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন খুলনা পাইকগাছা পৌরসভার ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি মোশারফ হোসেন (৪৪)। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে খুলনার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার পাইকগাছা পৌরসভা বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. আব্দুল মজিদ গ্রুপের অনুসারী হিসেবে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন সেলিম রেজা লাকী।

অন্যদিকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বহিষ্কৃত এনামুল হকের অনুসারী সভাপতি প্রার্থী ছিলেন আসলাম পারভেজ এবং সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন কামাল আহমেদ সেলিম নেওয়াজ। নিহত মোশারফ মজিদ গ্রুপের কর্মী হিসেবে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী লাকির সমর্থনে প্রচারণায় অংশ নেন।
হাসপাতাল চত্বরে দাঁড়িয়ে সেলিম রেজা লাকি বলেন, সম্মেলনের দিন বিকেল ৩টার দিকে পৌর বিএনপির একজন নেতা মোশারফকে গালিগালাজ ও মারপিট করেন। আগেও তাকে অনেকবার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানো হয়।

এজন্য অপমানে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু বলেন, পারিবারিক বিষয়ে মনোকষ্টে তিনি বিষ পান করেছিলেন। তবে তার ওপর হামলা ও অপমান করার প্রসঙ্গে মন্টু বলেন, ‘এ বিষয়ে বিস্তারিত না জেনে কিছু বলতে পারছিনা।’

নিহত মোশারফের ঘনিষ্ঠ বন্ধু অ্যাডভোকেট সাইফুদ্দিন সুমন বলেন, ‘মোশারফ দলকে ভালোবাসতেন।

তেমনি প্রচণ্ড আবেগী ছিলেন। তাকে শারীরিকভাবে মারপিট করায় অপমানিত হন। রাতেও অনেক সময় কথা হয়। কিন্ত সে ছিল নীরব। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে তার মেয়ে ফোন করে জানায় আব্বু বিষ খেয়েছে।

তাকে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আইসিইউ না পাওয়ায় গাজী মেডিক্যালে আনা হয়েছিল।’