রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে শেষমেশ আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের জয়ের সুবাদে সুপার ফোর নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশেরও। অন্যদিকে, হেরে ছিটকে গেছে আফগানিস্তান।
নিজেদের কাজটা ১৩তম ওভারে সারে শ্রীলঙ্কা। রশিদ খানের বলে চার মেরে দলের শেষ চার নিশ্চিত করেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চরিত আসালাঙ্কা। তাতে কাঁটায় কাঁটায় ১০১ রানের সমীকরণ মিলে যায়।
শ্রীলঙ্কা এশিয়া কাপ নিশ্চিত করলেও বাকি ছিল ‘বি’ গ্রুপ থেকে তাদের সঙ্গী হবে কারা? আফগানিস্তান নাকি বাংলাদেশ।
সেই নাম নিশ্চিত হলো ম্যাচ শেষে। আবুধাবির ম্যাচে তাকিয়ে থাকা বাংলাদেশই তাদের সঙ্গী হয়েছে। লিটন দাস-জাকের আলি অনিকদের শেষ চার নিশ্চিত হওয়ার পেছনে কৃতিত্ব অবশ্য শ্রীলঙ্কারই।
বিশেষ করে কুশল মেন্ডিসের।
শ্রীলঙ্কার উইকেটরক্ষক-ব্যাটারের ফিফটিতেই তো বাংলাদেশকে দেশে ফেরার টিকিট টাকতে হয়নি। তার ৭৪ রানের ইনিংসের সৌজন্যে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। বল বাকি ছিল ৮ টি। ৫২ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১০ চারে।
দুটি পচিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে জয়ে অবদান রেখেছেন কুশল পেরেরা (২৮) ও কামিন্দু মেন্ডিস (২৬*)। এতে আফগানিস্তানের শেষ চারের স্বপ্ন শেষ হয়।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নুয়ান তুষারার পেসের তোপে পড়ে আফগানিস্তান। মালিঙ্গার মতো বোলিং করা পেসারের কাছে পরাস্ত হয়ে ৭৯ রানে ৬ উইকেট হারায় আফগানরা। এতে করে ১২০ রান হবে কি না তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
তবে শেষ দিকে মরুর বুকে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ নবী। ৬০ রানে ঝোড়ো ইনিংস খেলে আফগানদের ত্রাণকর্তা হন তিনি। তার ২৭২.৭২ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসে ১৭০ রানের লক্ষ্য দাঁড় করায় আফগানরা। নিজের ইনিংসটি সাজান ৩ চার ও ৬ ছক্কায়। ৫ ছক্কা আবার শেষ ওভারে মেরেছেন ৪০ বছর বয়সী ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নিয়েছেন তুষারা।