ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তফসিল বাতিল করে সংলাপে বসুন: পেশাজীবী পরিষদ

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৬:১৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩
  • 172

তফসিল বাতিল করে সংলাপে বসুন: পেশাজীবী পরিষদ

একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এক সমাবেশে সংগঠনের নেতা রুহুল আমিন গাজী এই আহ্বান জানান। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সব রাজবন্দিকে মুক্ত করে দিন। এই সাজা দেওয়ার নাটক বন্ধ করুন।

পেশাজীবীদের ওপর হামলা বন্ধ করুন, বন্দি রাজনীতিবিদদের মুক্তি দিন। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের একটা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন এবং নতুন তফসিলের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করুন। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি ভেবে থাকেন ২০১৪ অথবা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করবেন, সরকার পরিচালনা করবেন সে কথা ভুলে যান। সে রকম নির্বাচন মানুষ হতে দেবে না।

দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এভাবে হঠাৎ সাজা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সবাইকে জেলে পুরে নির্বাচন করবেন আর নির্বাচনী খেলা করবেন এটা চলতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন, আজকের এই পরিস্থিতিতে জনগণ হতাশ।

তারা চায় ভোট দিতে, তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়, তারা চায় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
তিনি বলেন, যেখানে সব রাজনীতিবিদরা বেরিয়ে আসবেন, মুক্ত হয়ে আসবেন, একটা প্রতিযোগিতামূলক ইনক্লুসিভ ইলেকশন হবে… এ রকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই জনগণের মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আজকে আমরা জনগণের কাতারে জনগণের হয়ে এখানে কথা বলছি, জনগণের ইচ্ছা পূরণের জন্য আমরা দাঁড়িয়েছি।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, কিসের জন্য আজকে এই অবস্থা? আজকে কেন ১৫ বছর ধরে নির্বাচন নিয়ে প্রতিটা মানুষ চিন্তিত। একপেশে নির্বাচন করে কোনো অবস্থাতেই সরকার পার পাবে না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ, পেশাজীবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এই পেশাজীবী সমাবেশ হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন।

সমাবেশে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত থাকায় আসতে পারেননি বলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব জানান।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাশিদুল হাসান হারুন, জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশসের অধ্যাপক আবদুস সেলিম, ডা. শহীদ হাসান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

চট্টগ্রামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী খুন

তফসিল বাতিল করে সংলাপে বসুন: পেশাজীবী পরিষদ

আপডেট সময় ০৬:১৮:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৩

একতরফা নির্বাচনের তফসিল বাতিল করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। আজ শুক্রবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এক সমাবেশে সংগঠনের নেতা রুহুল আমিন গাজী এই আহ্বান জানান। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, সব রাজবন্দিকে মুক্ত করে দিন। এই সাজা দেওয়ার নাটক বন্ধ করুন।

পেশাজীবীদের ওপর হামলা বন্ধ করুন, বন্দি রাজনীতিবিদদের মুক্তি দিন। আলোচনার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের একটা উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুন এবং নতুন তফসিলের মধ্য দিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করুন। ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী বলেন, সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি ভেবে থাকেন ২০১৪ অথবা ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করবেন, সরকার পরিচালনা করবেন সে কথা ভুলে যান। সে রকম নির্বাচন মানুষ হতে দেবে না।

দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াতসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এভাবে হঠাৎ সাজা দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সবাইকে জেলে পুরে নির্বাচন করবেন আর নির্বাচনী খেলা করবেন এটা চলতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক তাজমেরী এস এ ইসলাম বলেন, আজকের এই পরিস্থিতিতে জনগণ হতাশ।

তারা চায় ভোট দিতে, তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পেতে চায়, তারা চায় গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে, জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে।
তিনি বলেন, যেখানে সব রাজনীতিবিদরা বেরিয়ে আসবেন, মুক্ত হয়ে আসবেন, একটা প্রতিযোগিতামূলক ইনক্লুসিভ ইলেকশন হবে… এ রকম একটা পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। সেই পরিস্থিতি তৈরি করতে হলে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই জনগণের মনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আজকে আমরা জনগণের কাতারে জনগণের হয়ে এখানে কথা বলছি, জনগণের ইচ্ছা পূরণের জন্য আমরা দাঁড়িয়েছি।

জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস বলেন, কিসের জন্য আজকে এই অবস্থা? আজকে কেন ১৫ বছর ধরে নির্বাচন নিয়ে প্রতিটা মানুষ চিন্তিত। একপেশে নির্বাচন করে কোনো অবস্থাতেই সরকার পার পাবে না।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে পেশাজীবীদের গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ, পেশাজীবীসহ সব রাজবন্দির মুক্তি, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের এই পেশাজীবী সমাবেশ হয়। এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, কৃষিবিদ, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজন অংশ নেন।

সমাবেশে সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার কাজে নিয়োজিত থাকায় আসতে পারেননি বলে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব জানান।

সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে ও সদস্যসচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুতফুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের রিয়াজুল ইসলাম রিজু, অ্যাগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের রাশিদুল হাসান হারুন, জি কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডি, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশসের অধ্যাপক আবদুস সেলিম, ডা. শহীদ হাসান, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. সরকার মাহবুব আহমেদ শামীম, সাংবাদিক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, শহীদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের জাহানারা বেগম, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাখাওয়াত হোসেন, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।