ঢাকা ০৪:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জামালপুর জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সির গ্রেফতার Logo আগের মত মিডিয়া এখনো নিয়ন্ত্রিত: নাহিদ ইসলাম Logo সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে যা বলছে ভারত Logo ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ ইসলাম Logo ইউনিভার্সিটি অধ্যাদেশ জারির দাবিতে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি Logo এনসিপি-গণঅধিকার একীভূত হওয়ার গুঞ্জন, যা বলছেন নেতারা Logo আমাদের লাল বাস ট্র্যাকিং অ্যাপ উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে ডাকসু নেতারা Logo ভারতের জলসীমানায় আটক ১৩ বাংলাদেশি Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু Logo শিক্ষকদের ভাতা বাড়াতে অর্থ উপদেষ্টাকে শিক্ষা উপদেষ্টার চিঠি

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ ইসলাম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 20

জুলাই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ২ সদস্যর বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তিনি।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে আন্দোলনকারী ছাত্র সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদের বর্ণনাও দেন নাহিদ ইসলাম। এরপর তার সাক্ষ্য শেষে জেরা শুরু হয়।

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দানকালে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দদের গ্রেপ্তার করে চাপ দেয়ার পাশাপাশি তাদের জীবিত ফেরত চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহারের হুমকি দেয়া হয়। এই অবস্থার মধ্যেই ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ ও আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি তুলে ধরা থেকে বিরত থাকে গণমাধ্যম।

ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে সমন্বয়কদের নির্যাতন ও জিজ্ঞেসাবাদের বিষয়ে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম জানায়, ২০ জুলাই রাতে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। পরে তাকে জানানো হয়- তাকে গুম করা হয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে ছাড়া হবে না। তবে ২৪ ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর ২৬ জুলাই আন্দোলন প্রত্যাহার করতে জোরপূর্বক লিখিত বক্তব্য পাঠ করিয়ে মোবাইলে ধারণ করে মিডিয়ায় প্রচার করেন তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

ট্রাইব্যুনালকে নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, ডিবি অফিস থেকে ছাড়া পেয়ে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট এক দফা দারিতে সরকার পতনের ডাক দেয় সমন্বয়করা। এরপর ৪ আগস্ট রাতেই সরকার গঠনের জন্য ড. ইউনূসকে উপদেষ্টা করার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

শেখ হাসিনার মামলায় নাহিদ ইসলাম প্রসিকিউশনের শেষ সাক্ষী। এরপর নিয়ম অনুযায়ী সাক্ষ্য দেবেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তারপর যুক্তি-তর্ক উত্থাপিত হবে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত আলোচিত এ মামলায় ৪৭ জনের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামালপুর জেলা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সির গ্রেফতার

ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি চাইলেন নাহিদ ইসলাম

আপডেট সময় ০২:৩৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যে শেখ হাসিনাসহ দায়ীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে ২ সদস্যর বেঞ্চে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দেন তিনি।

এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের নির্দেশে আন্দোলনকারী ছাত্র সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে নির্যাতন ও জিজ্ঞাসাবাদের বর্ণনাও দেন নাহিদ ইসলাম। এরপর তার সাক্ষ্য শেষে জেরা শুরু হয়।

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দানকালে নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আন্দোলনকারী নেতৃবৃন্দদের গ্রেপ্তার করে চাপ দেয়ার পাশাপাশি তাদের জীবিত ফেরত চাইলে আন্দোলন প্রত্যাহারের হুমকি দেয়া হয়। এই অবস্থার মধ্যেই ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে হত্যাযজ্ঞের প্রকৃত তথ্য প্রকাশ ও আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি তুলে ধরা থেকে বিরত থাকে গণমাধ্যম।

ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে সমন্বয়কদের নির্যাতন ও জিজ্ঞেসাবাদের বিষয়ে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম জানায়, ২০ জুলাই রাতে চোখ বেঁধে, হাতকড়া পরিয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি। পরে তাকে জানানো হয়- তাকে গুম করা হয়েছে, আন্দোলন প্রত্যাহার না করলে ছাড়া হবে না। তবে ২৪ ঘণ্টা পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এরপর ২৬ জুলাই আন্দোলন প্রত্যাহার করতে জোরপূর্বক লিখিত বক্তব্য পাঠ করিয়ে মোবাইলে ধারণ করে মিডিয়ায় প্রচার করেন তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন-অর-রশীদ।

ট্রাইব্যুনালকে নাহিদ ইসলাম আরও বলেছেন, ডিবি অফিস থেকে ছাড়া পেয়ে ২০২৪ সালের ১ আগস্ট এক দফা দারিতে সরকার পতনের ডাক দেয় সমন্বয়করা। এরপর ৪ আগস্ট রাতেই সরকার গঠনের জন্য ড. ইউনূসকে উপদেষ্টা করার বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

শেখ হাসিনার মামলায় নাহিদ ইসলাম প্রসিকিউশনের শেষ সাক্ষী। এরপর নিয়ম অনুযায়ী সাক্ষ্য দেবেন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তারপর যুক্তি-তর্ক উত্থাপিত হবে। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত আলোচিত এ মামলায় ৪৭ জনের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।