জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণাসহ তিন দফা দাবিতে চলমান অনশনে অংশ নেওয়া চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে তারা এ অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকেও তাদের অনশনে থাকতে দেখা যায়।
অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন— ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব, বাগছাস সভাপতি ফয়সাল মুরাদ, সদস্য সচিব শাহিন মিয়া ও মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের সম্পূরক বৃত্তি কার্যকর শুরুর তারিখ স্পষ্ট ঘোষণা; জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ; ক্যাফেটেরিয়ায় ভর্তুকি ও স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতকরণ, লাইব্রেরিতে সুযোগ-সুবিধা ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
অনশনকারী বাগছাসের সদস্য সচিব শাহিন মিয়া বলেন, “প্রশাসন আগের মতোই বাহানা করছে। হচ্ছে, হবে—এই বক্তব্য থেকে তারা বের হতে পারছে না। আর কোনো টালবাহানা আমরা শুনব না। বাগছাস সভাপতি ফয়সাল মুরাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনশন চলছে, কিন্তু প্রশাসন এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। ইতোমধ্যে আমি ও আরো দুজন অসুস্থ হয়ে পড়েছি।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “আমরা অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছি, কিন্তু প্রশাসন কর্ণপাত করেনি। তাই বাধ্য হয়ে অনশনে বসেছি। যতক্ষণ দাবি আদায় না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অনশন চলবে।”
দাবি ও অনশনের বিষয়ে জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাদমান সাম্য বলেন, “শিক্ষার্থীদের তিন দফা যৌক্তিক দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। কোনো সিন্ডিকেটের স্বার্থ সফল হতে দেওয়া হবে না।”