ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

নারী শিক্ষার্থীকে দুই ঘণ্টা আটকে হয়রানির অভিযোগ ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী সানজিদ সরকারের (স্মরণ) বিরুদ্ধে একই বিভাগের নবীন নারী শিক্ষার্থীকে ক্লাসের কথা বলে ডেকে এনে র‌্যাগিং ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী জানান, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং মানসিক হয়রানি করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ওই শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই অভিযোগের একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। সানজিদ সরকার লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ ব্যাচের স্মরণসহ কয়েকজন ইমিডিয়েট সিনিয়র গত ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট মিথ্যা কথা বলে ক্লাস না থাকা সত্ত্বেও ক্লাস আছে বলে ডেকে এনে ক্লাসের সিআর সহ আরো অনেকে সবার সামনে প্রকাশ্যে আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশালীনভাবে আমাকে অপমান করে। এসময় আমাকে আমার বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।

অভিযোগে তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয় এই ঘটনার পর আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় দুই ঘন্টা আটকে রাখা হয় এবং আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমার অভিভাবকরা আমাকে বারবার ফোন করেও পায়নি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা আমাকে সরাসরি হুমকি দেয় যে, আমি যেন প্রক্টর অথবা অন্যকোন শেল্টার থাকলে নিয়ে যাই। তারা আমাকে আরও হুমকি দেয়, প্রক্টরের টেবিল চাপড়িয়ে কথা বলে। এমনকি সেখানে তারা শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে।

এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। তিনি তার মানসিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান। অন্যথায় তিনি আর ক্যাম্পাসে থাকা সম্ভব হবে না এবং বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হবেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

অভিযুক্ত ছাত্রদলকর্মী সানজিদ সরকার (স্মরণ) বলেন, ‘ওইটা মিথ্যা অভিযোগ ছিল। ওই মেয়েটা ক্যাম্পাসে আসার আগে থেকেই তার ব্যক্তিগত মানুষের সাথে তাকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে। আমরা ভেবেছিলাম এটা ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব। কিন্তু পরে আর দেই নাই। এজন্য তাকে ডেকে এনে বলেছিলাম, এগুলো করা ঠিক না, এভাবে সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও তাকে ডিপার্টমেন্টের বা ক্যাম্পাসে কোন প্রোগ্রাম এ পাওয়া যায় না। যেখানে জুনিয়রদেরকে বলা হয়, সবাই থাকে কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাশেদ মন্ডল বলেন, ‘আমি নিজে তাকে (স্মরণ) ডেকে কথা বলব। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। ছাত্রদল কখনই এরকম আচরণ সাপোর্ট করে না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন তারা ওই মেয়ের নামে ওল্টা গুরুতর অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে ভাবতেছি, একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি তোলা হবে। সেখানে সমাধান নাহলে শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠানো হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

নারী শিক্ষার্থীকে দুই ঘণ্টা আটকে হয়রানির অভিযোগ ছাত্রদলকর্মীর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১২:১৪:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী সানজিদ সরকারের (স্মরণ) বিরুদ্ধে একই বিভাগের নবীন নারী শিক্ষার্থীকে ক্লাসের কথা বলে ডেকে এনে র‌্যাগিং ও মানসিক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী ওই শিক্ষার্থী জানান, তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে দুই ঘণ্টা আটকে রেখে ফোন কেড়ে নেওয়া হয় এবং মানসিক হয়রানি করা হয়।

এ ঘটনায় গত ১০ সেপ্টেম্বর (বুধবার) ওই শিক্ষার্থী বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ওই অভিযোগের একটি কপি সাংবাদিকদের হাতে এসেছে। সানজিদ সরকার লোকপ্রশাসন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী।

লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী বলেন, লোক প্রশাসন বিভাগের ১৬ ব্যাচের স্মরণসহ কয়েকজন ইমিডিয়েট সিনিয়র গত ২৪ থেকে ২৬ আগস্ট মিথ্যা কথা বলে ক্লাস না থাকা সত্ত্বেও ক্লাস আছে বলে ডেকে এনে ক্লাসের সিআর সহ আরো অনেকে সবার সামনে প্রকাশ্যে আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে অশালীনভাবে আমাকে অপমান করে। এসময় আমাকে আমার বক্তব্য দেওয়ার কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি।

অভিযোগে তিনি আরো বলেন, শুধু তাই নয় এই ঘটনার পর আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে প্রায় দুই ঘন্টা আটকে রাখা হয় এবং আমার ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। আমার অভিভাবকরা আমাকে বারবার ফোন করেও পায়নি। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা আমাকে সরাসরি হুমকি দেয় যে, আমি যেন প্রক্টর অথবা অন্যকোন শেল্টার থাকলে নিয়ে যাই। তারা আমাকে আরও হুমকি দেয়, প্রক্টরের টেবিল চাপড়িয়ে কথা বলে। এমনকি সেখানে তারা শিক্ষকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করে।

এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন। তিনি তার মানসিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানান। অন্যথায় তিনি আর ক্যাম্পাসে থাকা সম্ভব হবে না এবং বাধ্য হয়ে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হবেন বলেও অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন।

অভিযুক্ত ছাত্রদলকর্মী সানজিদ সরকার (স্মরণ) বলেন, ‘ওইটা মিথ্যা অভিযোগ ছিল। ওই মেয়েটা ক্যাম্পাসে আসার আগে থেকেই তার ব্যক্তিগত মানুষের সাথে তাকে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন জায়গায় আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে। আমরা ভেবেছিলাম এটা ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেব। কিন্তু পরে আর দেই নাই। এজন্য তাকে ডেকে এনে বলেছিলাম, এগুলো করা ঠিক না, এভাবে সুনাম নষ্ট হচ্ছে। এছাড়াও তাকে ডিপার্টমেন্টের বা ক্যাম্পাসে কোন প্রোগ্রাম এ পাওয়া যায় না। যেখানে জুনিয়রদেরকে বলা হয়, সবাই থাকে কিন্তু তাকে পাওয়া যায় না।’

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব রাশেদ মন্ডল বলেন, ‘আমি নিজে তাকে (স্মরণ) ডেকে কথা বলব। যদি অভিযোগ সত্য হয়, তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। ছাত্রদল কখনই এরকম আচরণ সাপোর্ট করে না।

লোকপ্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘একটা অভিযোগ পেয়েছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। তখন তারা ওই মেয়ের নামে ওল্টা গুরুতর অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে ভাবতেছি, একাডেমিক কাউন্সিলে বিষয়টি তোলা হবে। সেখানে সমাধান নাহলে শৃঙ্খলা বোর্ডে পাঠানো হবে।