গাজায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চার দিনের যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে, যা চলবে পরবর্তী ৪ দিন ধরে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস শাসিত ছিটমহল গাজায় সাত সপ্তাহ ধরে চলা যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মুহূর্তটি এসে গেছে, একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে।
শুক্রবার গাজার ঘড়ির কাঁটাগুলো ৭টার ঘর ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে মধ্যে বহু কাঙ্খিত যুদ্ধবিরতি শুরু হয়, যা চলবে পরবর্তী চার দিন ধরে। এই যুদ্ধবিরতির মধ্যে প্রতিবেশী দেশ মিশর থেকে রাফাহ ক্রসিং হয়ে গাজা ভূখণ্ডে অতিরিক্ত ত্রাণ সরবরাহ শুরু হবে। আর সবকিছু পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোলে বিকালে গাজায় হামাসের হাতে বন্দি ইসরায়েলিদের মধ্যে নারী ও শিশুসহ ১৩ জনকে মুক্তি দেওয়া হবে।
ইসরায়েলও তাদের কারাগারে বন্দি কিছু ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। শুক্রবার মিশর থেকে গাজায় ত্রাণবাহী ২০০ ট্রাকের পাশাপাশি এক লাখ ৪০ হাজার লিটার জ্বালানি ও গ্যাস ভর্তি অন্তত চারটি লরি প্রবেশ করার কথা রয়েছে। তবে গাজার যুদ্ধক্লান্ত ২৩ লাখ বাসিন্দার যে পরিমাণ জ্বালানি দরকার তার তুলনায় এটি অপ্রতুল বলে প্রত্যক্ষদর্শী পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন।
কিন্তু ইসরায়েলের অবিরাম হামলার পর এই সাময়িক বিরতির জন্যই গাজাবাসী প্রবল আশা নিয়ে অপেক্ষা করে আছেন। প্রথমদিন যে পরিমাণ ত্রাণ গাজায় প্রবেশ করবে তা তাদের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম হলেও এটিকে ‘শুভ সূচনা’ হিসেবে বিবেচনা করছেন তারা। আসছে দিনগুলো ত্রাণ সরবরাহ আরও বাড়বে বলে আশা তাদের, জানিয়েছে আল জাজিরা।
বিবিসির প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগে থেমে বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তারা, কিন্তু শুরু হওয়ার পর অন্তত ২০ মিনিট ধরে কোনো গুলি, মর্টারের গোলা, বিস্ফোরণ বা লড়াইয়ের শব্দ শুনেননি। এতে তাদের ধারণা হয়েছে, যুদ্ধবিরতি দৃঢ়ভাবে মেনে চলা হচ্ছে।