ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় এনসিপি নেতা মোকাররম হায়দার কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের বিনিময়ে টাকা লেনদেনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক হট্টগোলের সৃষ্টি হয়।
গত ২৯ আগস্ট সন্ধ্যার পর কয়েকজন অসহায় ও দুঃস্থ ভুক্তভোগী কাঞ্চনের কাছে অভিযোগ তোলেন যে, তাদের কাছ থেকে তিনি নিজে টাকার বিনিময়ে কাগজপত্র সংগ্রহ করলেও এখনো কার্ড তৈরি হয়নি। জবাবে তিনি দাবি করেন, “সব নাম ইউএনও’র কাছে পাঠানো হয়েছে, কার নাম কেটে দেওয়া হয়েছে তা আমি জানি না।”
এ সময় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে তার তর্ক-বিতর্ক চরমে পৌঁছালে স্থানীয় বাজারে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপস্থিত এনসিপির আরও কয়েকজন নেতা বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে চাইলে কাঞ্চন প্রথমে লেনদেনের অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে পরে প্রমাণ হাজির করা হলে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেন, “সব কার্ডের টাকা আমি নিইনি, শুধু দু’জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছি।”
তার এই স্বীকারোক্তির ভিডিও ও অডিও বাজারে উপস্থিত অনেকে সংরক্ষণ করেন। ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে পড়লে কাঞ্চন ভুক্তভোগীদের পুনরায় কার্ড করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু ভুক্তভোগীরা পাল্টা প্রশ্ন তোলেন—“কার্ডের চূড়ান্ত তালিকা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, এখন কিভাবে নতুন কার্ড করবেন?” এতে তিনি কোনো সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন।
একপর্যায়ে ভুক্তভোগীদের নীরব রাখতে এক লক্ষ টাকার প্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেলে তিনি নিজেকে রক্ষা করতে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ডাকেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মোকাররম হায়দার কাঞ্চন দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এনে দেওয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। জনগণের দুর্দশাকে পুঁজি করে সুবিধা বাণিজ্যে লিপ্ত এ ধরনের কর্মকাণ্ডে তার নৈতিক অবক্ষয় প্রকটভাবে প্রকাশ পেয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।