ঢাকা ১২:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন বাংলাদেশে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১১:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 69

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কাতারের সার্বভৌম ভূখণ্ডে বিনা প্ররোচনায় ও অযৌক্তিক ইসরায়েলি হামলা শুধু কাতারের ওপর হামলা নয়, বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মর্যাদার অবমাননা।’

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত জরুরি সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসরায়েলের আরও উসকানি ও আগ্রাসন ঠেকাতে ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বিত কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এই আগ্রাসনকে ইসরায়েলের বেপরোয়া অভিযানের অংশ হিসেবে দেখছে, যারা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং প্রতিনিয়ত জাতিসংঘের প্রস্তাব উপেক্ষা করে চলেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই সম্মিলিতভাবে এই নগ্ন আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে এবং অবিলম্বে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এসময় ওআইসির মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা এবং আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত তাদের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত শান্তি ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখার জন্য নিজ নিজ সংস্থার সনদ উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করেন।

এতে ২৪টি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশ নিয়েছেন এবং বাকি দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বিশ্বনেতারা গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে ইসরায়েলি আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং মুসলিম দেশগুলোর সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং মর্যাদার জন্য সর্বাত্মক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তারা গাজায় ইসরায়েলি দখলদারত্ব অবিলম্বে বন্ধ এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র সূত্র অনুসরণ করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ অনাহারে মারা যাওয়ায় গাজার জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও খাদ্য সরবরাহে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারেরও আহ্বান জানান নেতারা। তারা দ্ব্যর্থহীনভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানান, যাতে একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলি নেতাদের জবাবদিহি করা যায়।

এ জরুরি সম্মেলনে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ফরহাদুল ইসলাম, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে স্থায়ী প্রতিনিধি এম জে এইচ জাবেদ এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

জামিন হওয়ার পরই এক ক্লিকেই আদেশ চলে যাবে কারাগারে: আইন উপদেষ্টা

কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন বাংলাদেশে

আপডেট সময় ১১:০৪:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিত জরুরি আরব-ইসলামিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে কাতারে সাম্প্রতিক ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘কাতারের সার্বভৌম ভূখণ্ডে বিনা প্ররোচনায় ও অযৌক্তিক ইসরায়েলি হামলা শুধু কাতারের ওপর হামলা নয়, বরং সমগ্র মুসলিম উম্মাহর মর্যাদার অবমাননা।’

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দোহায় অনুষ্ঠিত জরুরি সম্মেলনে বাংলাদেশ ইসরায়েলের আরও উসকানি ও আগ্রাসন ঠেকাতে ওআইসির সব সদস্য রাষ্ট্রের সমন্বিত কূটনৈতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এই আগ্রাসনকে ইসরায়েলের বেপরোয়া অভিযানের অংশ হিসেবে দেখছে, যারা জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং প্রতিনিয়ত জাতিসংঘের প্রস্তাব উপেক্ষা করে চলেছে।’

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অবশ্যই সম্মিলিতভাবে এই নগ্ন আগ্রাসনের জন্য ইসরায়েলকে জবাবদিহি করতে হবে এবং অবিলম্বে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধের দাবি জানাতে হবে।’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এসময় ওআইসির মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা এবং আরব লীগের মহাসচিব আহমেদ আবুল ঘেইত তাদের স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং মুসলিম উম্মাহর সম্মিলিত শান্তি ও নিরাপত্তা সমুন্নত রাখার জন্য নিজ নিজ সংস্থার সনদ উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করেন।

এতে ২৪টি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান অংশ নিয়েছেন এবং বাকি দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। বিশ্বনেতারা গত ৯ সেপ্টেম্বর কাতারে ইসরায়েলি আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং মুসলিম দেশগুলোর সুরক্ষা, নিরাপত্তা এবং মর্যাদার জন্য সর্বাত্মক সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

তারা গাজায় ইসরায়েলি দখলদারত্ব অবিলম্বে বন্ধ এবং পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করে দ্বি-রাষ্ট্র সূত্র অনুসরণ করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান। ফিলিস্তিনি নারী-পুরুষ অনাহারে মারা যাওয়ায় গাজার জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা ও খাদ্য সরবরাহে নিরবচ্ছিন্ন প্রবেশাধিকারেরও আহ্বান জানান নেতারা। তারা দ্ব্যর্থহীনভাবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি জানান, যাতে একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্রের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলি নেতাদের জবাবদিহি করা যায়।

এ জরুরি সম্মেলনে অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ফরহাদুল ইসলাম, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও ওআইসিতে স্থায়ী প্রতিনিধি এম জে এইচ জাবেদ এবং কাতারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ হযরত আলী খান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন।