ঢাকা ১২:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এনআইডিতে গুরুতর ভুল সংশোধনের আবেদন সংশোধন হবে তদন্ত ছাড়াই

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 68

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা কোনো ব্যক্তির গুরুতর ভুল সংশোধনের আবেদন তদন্ত ছাড়াই নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তদন্তের নামে সেবাপ্রত্যাশী ব্যক্তিকে অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে কমিশন এ যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সেপ্টেম্বরের মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আলোচনার এক পর্যায়ে এনআইডি সংশোধন-সংক্রান্ত ইস্যুটি সামনে এলে কর্মকর্তারা এর সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেন। এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ গুরুতর ভুলযুক্ত এনআইডির আবেদনগুলো তদন্তের নামে অযথা হয়রানি বন্ধে বার্তা দেন।

সভায় উপস্থিত ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, কোনো ব্যক্তি নিজের এনআইডিতে থাকা ভুল সংশোধনের আবেদন করলেও সেটি উপজেলা পর্যায়ে তদন্তে পাঠানোর জন্য অনুরোধ পেয়ে থাকেন নানা মহল থেকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজ অফিস স্টাফের পক্ষ থেকে কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে আবেদনকারীর দিক থেকে। কর্মকর্তা অনেক সময় অনুরোধ রক্ষার্থে আবেদনটি তদন্তে পাঠান। এ সুযোগে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী ওই ব্যক্তিকে জিম্মি করে তদন্তের নামে অর্থ হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।

জানা যায়, আগামীতে এনআইডি সংশোধনে যে আবেদনটি পড়বে, এর ধরন অনুযায়ী ক্যাটাগরি (‘ক’ থেকে ‘ঘ’) নির্ণয় করা হবে। এরপর সেগুলোর মধ্যে কোনটি সংশোধনযোগ্য, কোনটি তদন্তসাপেক্ষে সংশোধনযোগ্য এবং কোনটি একেবারেই সংশোধনযোগ্য নয়, এর আলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, এনআইডি সংশোধনে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নাগরিকদের একাধিক জন্মসনদ। এ জন্য যেমন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়, তেমনি নাগরিকদেরও ভোগান্তি বাড়ে। এজন্য এখন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাদেরই দুটি জন্মসনদ অনলাইনে পাওয়া যাবে, তাদের সব তথ্য লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর চিঠির উত্তর এলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, আগামী নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এ বছর কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬১৮টি।

জনপ্রিয় সংবাদ

এনআইডিতে গুরুতর ভুল সংশোধনের আবেদন সংশোধন হবে তদন্ত ছাড়াই

আপডেট সময় ০৯:৫৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) থাকা কোনো ব্যক্তির গুরুতর ভুল সংশোধনের আবেদন তদন্ত ছাড়াই নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তদন্তের নামে সেবাপ্রত্যাশী ব্যক্তিকে অযথা হয়রানি থেকে মুক্তি দিতে কমিশন এ যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে। ইসির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার সেপ্টেম্বরের মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আলোচনার এক পর্যায়ে এনআইডি সংশোধন-সংক্রান্ত ইস্যুটি সামনে এলে কর্মকর্তারা এর সুবিধা-অসুবিধা তুলে ধরেন। এ সময় ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমদ গুরুতর ভুলযুক্ত এনআইডির আবেদনগুলো তদন্তের নামে অযথা হয়রানি বন্ধে বার্তা দেন।

সভায় উপস্থিত ইসির একাধিক কর্মকর্তা জানান, কোনো ব্যক্তি নিজের এনআইডিতে থাকা ভুল সংশোধনের আবেদন করলেও সেটি উপজেলা পর্যায়ে তদন্তে পাঠানোর জন্য অনুরোধ পেয়ে থাকেন নানা মহল থেকে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নিজ অফিস স্টাফের পক্ষ থেকে কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে আবেদনকারীর দিক থেকে। কর্মকর্তা অনেক সময় অনুরোধ রক্ষার্থে আবেদনটি তদন্তে পাঠান। এ সুযোগে এক শ্রেণির সুবিধাভোগী ওই ব্যক্তিকে জিম্মি করে তদন্তের নামে অর্থ হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে অনেক সময় সংশ্লিষ্ট অফিসারদের বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়।

জানা যায়, আগামীতে এনআইডি সংশোধনে যে আবেদনটি পড়বে, এর ধরন অনুযায়ী ক্যাটাগরি (‘ক’ থেকে ‘ঘ’) নির্ণয় করা হবে। এরপর সেগুলোর মধ্যে কোনটি সংশোধনযোগ্য, কোনটি তদন্তসাপেক্ষে সংশোধনযোগ্য এবং কোনটি একেবারেই সংশোধনযোগ্য নয়, এর আলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক হুমায়ুন কবীর বলেন, এনআইডি সংশোধনে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো নাগরিকদের একাধিক জন্মসনদ। এ জন্য যেমন আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হয়, তেমনি নাগরিকদেরও ভোগান্তি বাড়ে। এজন্য এখন থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাদেরই দুটি জন্মসনদ অনলাইনে পাওয়া যাবে, তাদের সব তথ্য লিপিবদ্ধ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর চিঠির উত্তর এলে আমরা পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

এদিকে, আগামী নির্বাচনের ভোটকেন্দ্রের সম্ভাব্য খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এ বছর কেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৬১৮টি।