মাদারীপুরের শিবচরে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে রাকিব মাদবর (২৫) নামে অনার্স শেষ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে।
গতকাল রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতের দিকে শিবচর পৌর বাজারের ব্যস্ত সড়কে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজনের চোখের সামনেই ঘটে যাওয়া এই হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
নিহত রাকিব শিবচর উপজেলার শিরুয়াইল ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের নাসির মাদবরের ছেলে এবং সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা বলেন, চরশ্যামাইল গ্রামের আবুল কালাম সরদারের লোকজনের সাথে রাকিবদের লোকজনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ৬ মে তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের হামলায় আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদ মারা যান। পরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় জেল খেটে সম্প্রতি আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় আসেন রাকিব। রবিবার রাতে শিবচর পৌর বাজারের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক(ইউসিবি) এর সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি।
এসময় ৪/৫ জনের একটি অস্ত্রধারী দল ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাকিবের ওপর হামলা চালায়। তাকে এলোপাতারি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরে গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এসময় নেয়ার পথে রাকিবের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে শিবচর থানা পুলিশ।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, কয়েক মাস আগের ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামি ছিলেন রাকিব। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, সেই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবেই রাকিবকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৬ মে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলার চরশ্যামাইল সরদারকান্দি এলাকার আবুল কালাম সরদারের ছেলে ইবনে সামাদকে কুপিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষের লোকজন। ২১ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর ঢাকা মেডিকেলে মারা যায় ইবনে সামাদ। ইবনে সামাদ হত্যা মামলার আসামিদের একজন রাকিব। তিনি সম্প্রতি জামিনে রয়েছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পরিবারের লোকজন দাবী করেছে।