ঢাকা ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে’

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন কোনোভাবেই এটা মিউচুয়ালি ইন্টার ডিপেন্ট (একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত) নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। বিচারে কখনো সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, তাতে অবিচার হবে তাহলে। সেটা চলবে, যে সরকারই আসুক।

কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। আর যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন না হয়, তাহলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।’
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ১৫ বছরে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি ‌‘অবিচারের শিকার’ হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। আর যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যদি কোনো রকম অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেটা ফ্যাসিবাদ চেষ্টা করছে।

যদি আমরা এ রকম কোনো কর্মকাণ্ড করি, তাহলে ফ্যাসিবাদ শক্তি সুযোগ পাবে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য…অনেকে বলছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটা রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে। এখানে দুইটা রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে।

অনেকগুলো বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আরো বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যেগুলো হয়তো আপনারা সময়ের অভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেননি, সেগুলো জাতির সামনে অ্যাড্রেস করতে হবে।’

সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এখানে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবে মৌলিক বিষয় আরো অনেক আছে। আমরা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো দলে আলোচনা করে লিখিত মতামত দিয়েছি। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে আমরা দ্বিমত করেছি। ১১৫টি প্রস্তাবে আমাদের মতামতসহ ভিন্নমত দিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে প্রায়। মৌলিকগুলো নিয়ে ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাব হয়।’

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব অস্ত্রসহ গ্রেফতার,দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার

‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে’

আপডেট সময় ০৯:১৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন কোনোভাবেই এটা মিউচুয়ালি ইন্টার ডিপেন্ট (একটা আরেকটার সঙ্গে সম্পর্কিত) নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

তিনি বলেছেন, ‘সংস্কার সংস্কারের মতো চলবে, এটা চলমান প্রক্রিয়া। বিচারে কখনো সময় বেঁধে দেওয়া যায় না, তাতে অবিচার হবে তাহলে। সেটা চলবে, যে সরকারই আসুক।

কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। আর যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে নির্বাচন না হয়, তাহলে আঞ্চলিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়তে পারে।’
রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

গত ১৫ বছরে বিএনপিই সবচেয়ে বেশি ‌‘অবিচারের শিকার’ হয়েছে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা গুম-হত্যা-নির্যাতনের শিকার হয়েছি।

বিচার চলবে, এটা আমাদের কমিটমেন্ট, জাতির কমিটমেন্ট। কিন্তু নির্বাচনকে কন্ডিশনাল করা যাবে না। আর যদি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যদি কোনো রকম অনিশ্চিত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। সেটা ফ্যাসিবাদ চেষ্টা করছে।

যদি আমরা এ রকম কোনো কর্মকাণ্ড করি, তাহলে ফ্যাসিবাদ শক্তি সুযোগ পাবে, সেটা আমাদের জাতীয় জীবনের জন্য…অনেকে বলছেন, এটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হবে। আমি বলছি, এটা রিজিওনাল সিকিউরিটির জন্য থ্রেট হতে পারে। এখানে দুইটা রিজিওনাল শক্তি। আমরা বাংলাদেশকে সেখানে নিতে চাই না। নির্ধারিত টাইমলাইনে নির্বাচন হতেই হবে।

অনেকগুলো বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আরো বিষয়ে সংস্কারের প্রয়োজন আছে, যেগুলো হয়তো আপনারা সময়ের অভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেননি, সেগুলো জাতির সামনে অ্যাড্রেস করতে হবে।’

সংবিধানসংক্রান্ত সংস্কারের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘এখানে ১৯টি মৌলিক বিষয় চিহ্নিত করা হয়েছে। বাস্তবে মৌলিক বিষয় আরো অনেক আছে। আমরা ৮২৬টি ছোট-বড় সংস্কার প্রস্তাব পেয়েছি। এগুলো দলে আলোচনা করে লিখিত মতামত দিয়েছি। মাত্র ৫১টি প্রস্তাবে আমরা দ্বিমত করেছি। ১১৫টি প্রস্তাবে আমাদের মতামতসহ ভিন্নমত দিয়ে গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছি। এ বিষয়ে চূড়ান্ত ঐকমত্য হয়েছে প্রায়। মৌলিকগুলো নিয়ে ৮৪৫টি সংস্কার প্রস্তাব হয়।’