ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বামপন্থিদের মব সন্ত্রাস ও অসংলগ্ন স্লোগানের প্রতিবাদ জানাল ছাত্রশিবির Logo সুবিপ্রবিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপন Logo নির্বাচন ছাড়া কোনো কিছুতেই বিশ্বাস করি না-মির্জা ফখরুল Logo জুলাই ঘোষণাপত্রে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েই গেলো-আখতার হোসেন Logo রুয়ার কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় অধ্যাপক মহিউদ্দীনকে নওগাঁ উন্নয়ন ফোরামের সংবর্ধনা Logo খোকসা থানায় চোরাই ট্রলি গায়েব, ভুয়া স্ট্যাম্পে ধামাচাপা Logo চালকের ঘুমের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে মাইক্রোবাসটি,একই পরিবারের ৭ জন নিহত Logo মেহেরপুরের সড়কে ককটেল ফাটিয়ে গণডাকাতি Logo জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে আনুষ্ঠানিক বিএনপি প্রতিক্রিয়া জানাবে আজ Logo এখন জনগণের ভয়ে সরকার পোস্ট ডিলিট করে

ডলার সংকটে দেশের ২১ ব্যাংক

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 303

ডলার সংকটে দেশের ২১ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছেন, ডলার সংকটে রয়েছে দেশের ২১টি ব্যাংক। এসব ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই এখন। দেশে ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলারের মজুত আছে। আর এসব বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এসময় ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ জানান এ মুখপাত্র।মেজবাউল হক বলেন, বুধবার (২২ নভেম্বর) বাফেদা-এবিবি রপ্তানি-রেমিট্যান্স ও আমদানিসহ সব ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়বে। এখন আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমে এসেছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের বেশি ডলার আছে। সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংক গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ কারণেই কখনও কখনও অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলার বাজারে।

ডলার বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করবে কি না এমন প্রশ্নে এ মুখপাত্র বলেন, রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। এখানে বন্ধ করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং সেবামূল্য পরিশোধ।’ এ দুই জায়গাতেই চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রও খোলা কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই বলাই যায়, অল্পসময়ের মধ্যেই ডলার সংকট নিরসনের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

বামপন্থিদের মব সন্ত্রাস ও অসংলগ্ন স্লোগানের প্রতিবাদ জানাল ছাত্রশিবির

ডলার সংকটে দেশের ২১ ব্যাংক

আপডেট সময় ০৯:৪৪:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক বলেছেন, ডলার সংকটে রয়েছে দেশের ২১টি ব্যাংক। এসব ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের কাছ থেকে ডলার সংগ্রহ করে চলছে।

তিনি বলেন, সার্বিকভাবে ডলারের সংকট নেই এখন। দেশে ৩৯ ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত ডলারের মজুত আছে। আর এসব বিবেচনায় নিয়ে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এসময় ডলার সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ জানান এ মুখপাত্র।মেজবাউল হক বলেন, বুধবার (২২ নভেম্বর) বাফেদা-এবিবি রপ্তানি-রেমিট্যান্স ও আমদানিসহ সব ক্ষেত্রে ডলারের দাম ৫০ পয়সা কমিয়েছে। এতে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়বে। এখন আমদানি কমে যাওয়ায় ডলারের চাহিদা কমে এসেছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ কমে আসবে বলে জানান তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের বেশি ডলার আছে। সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংক গ্রাহক চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছেন না। তারা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছেন। এ কারণেই কখনও কখনও অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলার বাজারে।

ডলার বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করবে কি না এমন প্রশ্নে এ মুখপাত্র বলেন, রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। এখানে বন্ধ করার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, দেশের ডলার খরচের মূল খাত হলো ‘আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং সেবামূল্য পরিশোধ।’ এ দুই জায়গাতেই চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। এরই মধ্যে ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছে। এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্রও খোলা কমেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই বলাই যায়, অল্পসময়ের মধ্যেই ডলার সংকট নিরসনের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।