ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড় Logo সবার আগে ঈদের তারিখ জানাল অস্ট্রেলিয়া Logo মিয়ানমারের মতো বাংলাদেশেও শক্তিশালী ভূমিকম্পের শঙ্কা Logo ঈদে ফাঁকা ঢাকার সুরক্ষায় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মিয়ানমারে নিহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে, আহত এক হাজার ৬৭০ Logo প্রধান উপদেষ্টাকে ডক্টরেট ডিগ্রি দিলো চীনের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় Logo যমুনা সেতুতে চলতি বছর টোল আদায়ে নতুন রেকর্ড Logo আর্জেন্টিনার কাছে হারের জেরে দরিভালকে বরখাস্ত করল ব্রাজিল Logo দ্রুত নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন,সংস্কার আপনাদের কাজ না: আমীর খসরু Logo মিয়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১৪৪, আহত ৭৩২ জন

শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি: কাতার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 0 Views

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদন দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা থেকে জিম্মিদের প্রথম দলটিকে মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৪ দিন।

দোহায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। ১৩ জন জিম্মি সন্ধ্যায় মুক্তি পাবেন। এ সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মধ্যে যারা একই পরিবারের, তাদের একত্রিত করা হবে। চার দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে চুক্তি হয়েছে, সেটি অনুযায়ী প্রতিদিন নতুন করে আরও বেসামরিক জিম্মিকে যুক্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বুধবার দিনব্যাপী যে আলোচনা হয়েছে, সেটি আজ সকাল পর্যন্ত চলমান ছিল। এতে মিশর এবং যুদ্ধের অন্যান্য পক্ষগুলো যুক্ত ছিল। আলোচনা ভালোভাবে হয়েছে এবং আলোচনার পরিবেশ ইতিবাচক ছিল।

কাতারের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আলোচনার ফলাফল অবশ্যই ছিল যুদ্ধবিরতির চুক্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আমরা সবসময় বলেছি, এমন কিছু দরকার যেটি বাস্তবসম্মত এবং জিম্মিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে গাজা থেকে বন্দীদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সম্পর্কে তিনি তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন রুমের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে সেখানে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব। জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্তির বিষয়টিতে যুক্ত থাকবে রেডক্রস ও যুদ্ধের পক্ষগুলো।

অ-ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আল-আনসারি বলেন, জিম্মিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মানদণ্ডটি সম্পূর্ণরূপে মানবিক ছিল এবং আমাদের ফোকাস ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারী ও শিশুদের ক্ষতির পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া। আশা ছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত গতি আমাদের সবাইকে সময়মত বের করে আনতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে অবশ্যই, মানবিক বিরতির মাধ্যমে গাজার মানুষের কষ্ট কমে আসবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

কমলাপুর থেকে নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ছে ট্রেন, নেই উপচে পড়া ভিড়

শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি: কাতার

আপডেট সময় ০৯:২৪:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদন দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা থেকে জিম্মিদের প্রথম দলটিকে মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ হবে ৪ দিন।

দোহায় কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টা থেকে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে। ১৩ জন জিম্মি সন্ধ্যায় মুক্তি পাবেন। এ সময়ের মধ্যে জিম্মিদের মধ্যে যারা একই পরিবারের, তাদের একত্রিত করা হবে। চার দিনের মধ্যে ৫০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার যে চুক্তি হয়েছে, সেটি অনুযায়ী প্রতিদিন নতুন করে আরও বেসামরিক জিম্মিকে যুক্ত করা হবে। তিনি আরও বলেন, বুধবার দিনব্যাপী যে আলোচনা হয়েছে, সেটি আজ সকাল পর্যন্ত চলমান ছিল। এতে মিশর এবং যুদ্ধের অন্যান্য পক্ষগুলো যুক্ত ছিল। আলোচনা ভালোভাবে হয়েছে এবং আলোচনার পরিবেশ ইতিবাচক ছিল।

কাতারের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, আলোচনার ফলাফল অবশ্যই ছিল যুদ্ধবিরতির চুক্তি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আমরা সবসময় বলেছি, এমন কিছু দরকার যেটি বাস্তবসম্মত এবং জিম্মিদের মুক্তির ক্ষেত্রে একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করবে।

তিনি আরও বলেছেন, নিরাপত্তার কারণে গাজা থেকে বন্দীদের কোন পথে নিয়ে যাওয়া হবে, সে সম্পর্কে তিনি তথ্য প্রকাশ করতে পারবেন না। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এখানে আমাদের মূল লক্ষ্য জিম্মিদের নিরাপত্তা। আমাদের অপারেশন রুমের মাধ্যমে তারা যাতে নিরাপদে সেখানে পৌঁছায় তা নিশ্চিত করার দিকে আমরা মনোযোগ দেব। জিম্মিদের গাজা থেকে মুক্তির বিষয়টিতে যুক্ত থাকবে রেডক্রস ও যুদ্ধের পক্ষগুলো।

অ-ইসরাইলি বন্দীদের মুক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আল-আনসারি বলেন, জিম্মিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার মানদণ্ডটি সম্পূর্ণরূপে মানবিক ছিল এবং আমাদের ফোকাস ছিল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নারী ও শিশুদের ক্ষতির পথ থেকে সরিয়ে দেওয়া। আশা ছিল, এই চুক্তির মাধ্যমে পরিচালিত গতি আমাদের সবাইকে সময়মত বের করে আনতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে অবশ্যই, মানবিক বিরতির মাধ্যমে গাজার মানুষের কষ্ট কমে আসবে।