নেপালে আন্দোলনে নামতে চেয়েছিলেন জামাল ভূঁইয়া। আতঙ্কে থাকলেও কেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শামিল হতে চেয়েছিলেন, তা তিনি বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
নেপালে গণআন্দোলনের কারণে একটি ম্যাচ বাতিল হয়। এরপর বাংলাদেশ দল হোটেলবন্দী জীবন কাটাতে বাধ্য হয় এবং পাশের ভবনে আন্দোলনের দৃশ্য দেখতে হয়। অনিশ্চয়তায় কেটেছে প্রতিটি মুহূর্ত। দুঃসহ স্মৃতি এখনও জামাল ভূঁইয়াকে তাড়িয়ে বেড়ায়। তবুও, এই পরিস্থিতির মাঝেও আন্দোলনে অংশ নেয়ার আগ্রহ জাগেছিল জেবিসিক্সের।
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, সত্যিই আমি আন্দোলনে ওদের সঙ্গে যেতে চেয়েছিলাম। কারণ, হোটেলে থাকলে আমি নিরাপত্তাহীন থাকব, কিন্তু ওদের সঙ্গে গেলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব না।
বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া বলেন, সত্যিই আমি আন্দোলনে ওদের সঙ্গে যেতে চেয়েছিলাম। কারণ, হোটেলে থাকলে আমি নিরাপত্তাহীন থাকব, কিন্তু ওদের সঙ্গে গেলে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগব না।
হোটেলে জিম সেশনের পর বাকি সময় কেমন কেটেছে এবং বাকি ফুটবলার ও কোচিং স্টাফ কেমন ছিলেন এই বিষয়েও তিনি কথা বলেছেন। ঢাকা ফেরার পরদিন রাজধানীর এক স্কুলের অনুষ্ঠানে তিনি স্মৃতিচারণ করেছেন।
জামাল ভূঁইয়া বলেন, বাইরে দেখেছি দুটি বাসায় আগুন লাগানো হয়েছে, মনে হয় কোনো এক এমপির বাড়ি ছিল। তার গাড়ি ভেঙে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সময় আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম। আমরা সবাই একসঙ্গে হোটেলে ছিলাম।
নেপালে মূলত দুই ম্যাচের বদলে মাত্র একটি ম্যাচ খেলা সম্ভব হয়েছে। হংকংয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতির জন্য এটি যথেষ্ট মনে করছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৯ অক্টোবরের আগে অন্তত একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে চান তিনি।
জামাল ভূঁইয়া বলেন, আমি নিশ্চিত নই, দেখব সম্ভব কিনা। তবে একান্তভাবে বলতে চাই, যদি হংকং ম্যাচের আগে আরেকটি ম্যাচ খেলতে পারি, তা আমাদের জন্য ভালো হবে।
দেশে ফিরেও বিশ্রামের সময় কম ছিল ফুটবলারদের। এক সপ্তাহ পরই ঘরোয়া মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে।