জাকসু নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা ও ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করেছে। আজ ১২ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার উদ্যোগে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ধারায় প্রবেশ করেছে। ঢাবির শিক্ষার্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা এবং তাদের জন্য কাজ করা প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেছে। আগামীতেও দেশের সকল ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরতে চায়।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মনে করেছিলাম ডাকসুর মতো জাকসুতেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি প্রশাসন টালবাহানা শুরু করেছে। ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল-সমাবেশ করেছে। ইতোমধ্যে একজন বহিরাগত ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “লন্ডনের প্রেসক্রিপশনে বিএনপিপন্থী কোন কোন শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছে। আমরা তাদের প্রতি ধিক্কার জানাই। জুলাইয়ের আন্দোলনে শিক্ষকদের বিরাট ভূমিকা ছিল। আমরা আশা করব তারা জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করে কাজ করবেন।”
সিবগাতুল্লাহ আরও বলেন, “৮ হাজার শিক্ষার্থীর ভোট নিয়ে বাংলাদেশ থেকে লন্ডন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেই বিশ্ববিদ্যালয়, যেখান থেকে শিক্ষার্থীরা অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদকে বিদায় করেছে। সুতরাং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি গণতান্ত্রিক মতামত উপেক্ষা করে, শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না।”
পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, “আপনাদের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ কখনও চলবে না। ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিজয় আসলে শিক্ষার্থীদের বিজয়। বাংলাদেশ নিয়ে নাক গলানো বন্ধ করুন।”
তিনি অনতিবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্ত করার দাবি জানান। গণতান্ত্রিক মতামতকে সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “অন্যথায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায় করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান আজাদ, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মু’তাসিম বিল্লাহ শাহেদী ও ছাত্র অধিকার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মোজাফফর হোসেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, মহানগর পূর্ব শাখার সেক্রেটারি মুহিব্বুল্লাহ হুসাইনীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।