ঢাকা ১১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার Logo রাকসুর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ছাত্রদল নেতা আমানের ক্যাম্পাসে অবস্থান
ডাকসু নির্বাচন

সাদিক কায়েমদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে চরমোনাই পীর

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 165

নতুন ডাকসু নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নির্বাচনী সংস্কৃতি থেকে দূরে ছিলো। তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারে নাই। এমন বাস্তবতায় ডাকসু নির্বাচন জাতির জন্য একটি আশার আলো হয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন প্যানেল থেকে এবং স্বতন্ত্রভাবে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তোমরা যে নিজেদেরকে দায়িত্বশীল হিসেবে উপস্থাপন করেছ, শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছো এটাই তোমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরো শাণিত করবে।

তিনি আরও বলেছেন, এই নির্বাচনে ইসলামপন্থার বিজয় জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবন পরিচালনায় ধর্মের প্রাধান্য বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ডাকসুতে মুক্ত ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ ভোট দেয়ার প্রথম সুযোগেই মানুষের ভেতরকার ইসলাম বোধের প্রস্ফুটন হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা যাবে; ইনশাআল্লাহ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ডাকসুর নতুন নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। তোমাদের কর্মদক্ষতা, তোমাদের ইনসাফ, সততা ও সবাইকে আপন করে নেয়ার সাফল্য বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে ইসলামকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে। আর তোমাদের ব্যর্থতা, অদক্ষতা ইসলাম পন্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। তাই বলবো, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে হবে। সবার মতের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামের উদারতায় সবাইকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নতমানে নিয়ে যেতে হবে। ইসলামের প্রাথমিক কালে সব ধর্ম ও চিন্তার মানুষ যেভাবে ইসলামে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছে তোমাদের কার্যকালেও যেনো সকলে স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদবোধ করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের সর্বাঙ্গিন মঙ্গল করুন এই দোয়া করি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’

ডাকসু নির্বাচন

সাদিক কায়েমদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছে চরমোনাই পীর

আপডেট সময় ১০:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নতুন ডাকসু নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (পীর সাহেব চরমোনাই)।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী নতুন নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।

বিবৃতিতে পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, বাংলাদেশ দীর্ঘদিন নির্বাচনী সংস্কৃতি থেকে দূরে ছিলো। তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারে নাই। এমন বাস্তবতায় ডাকসু নির্বাচন জাতির জন্য একটি আশার আলো হয়ে থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন প্যানেল থেকে এবং স্বতন্ত্রভাবে যারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তাদের সবাইকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। নির্বাচনে জয়-পরাজয় স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু তোমরা যে নিজেদেরকে দায়িত্বশীল হিসেবে উপস্থাপন করেছ, শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছো এটাই তোমাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরো শাণিত করবে।

তিনি আরও বলেছেন, এই নির্বাচনে ইসলামপন্থার বিজয় জাতিকে আশার আলো দেখিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ। ধর্মের প্রতি ভালোবাসা এবং জীবন পরিচালনায় ধর্মের প্রাধান্য বাংলাদেশের মানুষের হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। ডাকসুতে মুক্ত ও স্বাধীন, নিরপেক্ষ ভোট দেয়ার প্রথম সুযোগেই মানুষের ভেতরকার ইসলাম বোধের প্রস্ফুটন হয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব দেখা যাবে; ইনশাআল্লাহ

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ডাকসুর নতুন নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, তোমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য অনেক। তোমাদের কর্মদক্ষতা, তোমাদের ইনসাফ, সততা ও সবাইকে আপন করে নেয়ার সাফল্য বাংলাদেশে রাজনৈতিকভাবে ইসলামকে আরও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে। আর তোমাদের ব্যর্থতা, অদক্ষতা ইসলাম পন্থাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে। তাই বলবো, দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আপন করে নিতে হবে। সবার মতের স্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে। ইসলামের উদারতায় সবাইকে সাথে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি উন্নতমানে নিয়ে যেতে হবে। ইসলামের প্রাথমিক কালে সব ধর্ম ও চিন্তার মানুষ যেভাবে ইসলামে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেছে তোমাদের কার্যকালেও যেনো সকলে স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপদবোধ করে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। আল্লাহ তোমাদের সর্বাঙ্গিন মঙ্গল করুন এই দোয়া করি।