আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশালের মুলাদীতে ইসলামী ছাত্রশিবির ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ছাত্রশিবিরের ২০ জন এবং ছাত্রদলের ৫ জন।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুলাদী সরকারি কলেজে এ সংঘর্ষ হয়।
আহত শিবিরকর্মীরা অভিযোগ করেছেন, মুলাদী সরকারি কলেজে ২৩ সেপ্টেম্বর এক অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার প্রস্তুতি সভা করছিল ছাত্রশিবির। এ সময় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়কের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। ছাত্রশিবিরের আহত ছয় কর্মীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে মুলাদী পৌর যুবদলের আহ্বায়ক মো. রফিকুল ইসলাম ঢালী বলেছেন, ছাত্রদল নেতাদের কলেজ ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দিয়ে ছাত্রদলের স্থানীয় ৫ নেতাকর্মীকে মারধর করেছেন শিবিরের নেতারা। উপজেলা ও পৌর জামায়াতের নেতাসহ শিবিরের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র সন্ত্র নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। ছাত্রদলের আহত কর্মীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কলেজের অনতিদূরে দলীয় কার্যালয়ে আজ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিনের কর্মীসভা ছিল। ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলেন। অপরদিকে, কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাদের কটূক্তি করে স্লোগান দিলে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উভয় পক্ষের অনেকে আহত হন।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেছেন, গতকাল কলেজে একাদশ শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা মঞ্চে থাকায় ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনার জের ধরে আজ সংঘর্ষ বাঁধে। খবর পেয়ে পুলিশ উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রেহাই মেলে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই কয়েকজন আহত হয়েছেন।