জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে । দীর্ঘ ৩৩ বছর পর বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। যা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালটে। যেখানে টিক চিহ্ন (✓) দিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ২৫টি পদের বিপরীতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ প্রার্থী। এরমধ্যে ভিপি পদে ৯ জন এবং জিএস পদে লড়ছেন ৮ জন। সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে মোট ভোটার ২১ হাজার ৭৫৯ জন।
এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এরমধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশের পৃথক প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’ ছাড়াও আরও তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে আলোচনায় রয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ সমর্থিত আরিফুজ্জামান উজ্জল, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ জিতু, ছাত্রদলের শেখ সাদী হাসান ও শিবির সমর্থিত প্রার্থী আরিফ উল্লাহ। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে আলোচনায় আছেন শিবির সমর্থিত মাজহারুল ইসলাম, ছাত্রদলের তানজিলা হোসাইন বৈশাখী এবং বাগছাস সমর্থিত তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম।
এদিকে নির্বাচন ঘিরে ইতোমধ্যে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বহিরাগত ও প্রাক্তন নেতারা সহজেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। আগের রাতে ইসির সঙ্গে বৈঠকও করেন তারা। এতে নির্বাচনী পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও মনে করছেন তারা