ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৭ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রাতভর বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ১ Logo লক্ষ্মীপুরে বিকাশ-নগদ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযান, গ্রেপ্তার ৪ Logo উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের পথে নুর Logo কুমিল্লা-৩ আসনে ভোটের মাঠে দৌড়াচ্ছেন জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ইউসুফ হাকিম সোহেল Logo চট্টগ্রাম মিরসরাইয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের ধাওয়া–পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫ Logo রাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের Logo সোমবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ Logo হাসিনার সাবেক সামরিক সচিক মেজর জেনারেল কবীরকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউইয়র্কে গেলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আজ টিভিতে ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠান যা দেখবেন

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ প্রধানের বৈঠক

  • ফখরুল ইসলাম
  • আপডেট সময় ০৮:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
  • 347

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ প্রধানের বৈঠক

হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। লেবানিজ সামরিক গোষ্ঠীটি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে মারাত্মক আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও নাসরুল্লাহ ‘ফিলিস্তিন, লেবানন ও অঞ্চলের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং…গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছেন’। ইরানের বার্তা সংস্থা নুর জানিয়েছে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বুধবার সতর্ক করেছেন, যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এ ছাড়া হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার সকালে বলেছে, তারা সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ইসরায়েলের সাফেদ শহরের কাছে এইন জেইটিমে সামরিক ঘাঁটিতে ৪৮টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোতে কমপক্ষে ১০টি হামলা চালানোর এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। এসব হামলার জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে বলে লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহ বলছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা করার পর থেকে তারা গোষ্ঠীটির সমর্থনে কাজ করছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়েছে। হামলার পর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের হিসাবে, ইসরায়েলি আক্রমণে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ হয়েছে, যাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশুও রয়েছে।

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতায় লেবাননে কমপক্ষে ১০৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক লোকও মারা গেছে। ইসরায়েলি পক্ষের ছয় সেনা ও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

রাতভর বৃষ্টিতে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা, বিদ্যুতায়িত হয়ে নিহত ১

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হিজবুল্লাহ প্রধানের বৈঠক

আপডেট সময় ০৮:০৩:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩

হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। লেবানিজ সামরিক গোষ্ঠীটি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে মারাত্মক আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।

এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও নাসরুল্লাহ ‘ফিলিস্তিন, লেবানন ও অঞ্চলের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং…গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছেন’। ইরানের বার্তা সংস্থা নুর জানিয়েছে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বুধবার সতর্ক করেছেন, যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।

এ ছাড়া হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার সকালে বলেছে, তারা সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ইসরায়েলের সাফেদ শহরের কাছে এইন জেইটিমে সামরিক ঘাঁটিতে ৪৮টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোতে কমপক্ষে ১০টি হামলা চালানোর এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। এসব হামলার জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে বলে লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।

হিজবুল্লাহ বলছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা করার পর থেকে তারা গোষ্ঠীটির সমর্থনে কাজ করছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়েছে। হামলার পর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের হিসাবে, ইসরায়েলি আক্রমণে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ হয়েছে, যাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশুও রয়েছে।

ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতায় লেবাননে কমপক্ষে ১০৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক লোকও মারা গেছে। ইসরায়েলি পক্ষের ছয় সেনা ও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।