হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান। লেবানিজ সামরিক গোষ্ঠীটি বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের সঙ্গে মারাত্মক আন্তঃসীমান্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহ বলেছে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান ও নাসরুল্লাহ ‘ফিলিস্তিন, লেবানন ও অঞ্চলের সর্বশেষ অগ্রগতি এবং…গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের প্রচেষ্টা পর্যালোচনা করেছেন’। ইরানের বার্তা সংস্থা নুর জানিয়েছে, আমির-আব্দুল্লাহিয়ান বুধবার সতর্ক করেছেন, যুদ্ধ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে।
এ ছাড়া হিজবুল্লাহ বৃহস্পতিবার সকালে বলেছে, তারা সীমান্ত থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে উত্তর ইসরায়েলের সাফেদ শহরের কাছে এইন জেইটিমে সামরিক ঘাঁটিতে ৪৮টি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। সীমান্তের কাছাকাছি ইসরায়েলি অবস্থানগুলোতে কমপক্ষে ১০টি হামলা চালানোর এবং এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলেও দাবি করেছে গোষ্ঠীটি। এসব হামলার জবাবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দক্ষিণ লেবাননের বিভিন্ন স্থানে গোলাবর্ষণ করেছে বলে লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে।
হিজবুল্লাহ বলছে, ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলে হামলা করার পর থেকে তারা গোষ্ঠীটির সমর্থনে কাজ করছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা বলেছে, সেই হামলায় প্রায় এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছে এবং প্রায় ২৪০ জন জিম্মি হয়েছে। হামলার পর ইসরায়েল হামাসকে ধ্বংস করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং গাজা উপত্যকায় প্রতিশোধমূলক বিমান ও স্থল আক্রমণ শুরু করেছে। গাজা শাসনকারী হামাস সরকারের হিসাবে, ইসরায়েলি আক্রমণে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষ হয়েছে, যাদের মধ্যে হাজার হাজার শিশুও রয়েছে।
ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে সহিংসতায় লেবাননে কমপক্ষে ১০৮ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই হিজবুল্লাহ যোদ্ধা। তবে তিন সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১৪ জন বেসামরিক লোকও মারা গেছে। ইসরায়েলি পক্ষের ছয় সেনা ও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।