ঢাকা ০৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চলছে ভোট গণনা ,ভিড় বেড়েছে শাহবাগে, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী Logo শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ Logo তোপের মুখে পদত্যাগ করলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী Logo ভোটকেন্দ্র দখলের পাঁয়তারা করছে ছাত্রদল : নুরুল ইসলাম সাদ্দাম Logo ডাকসু নির্বাচনের সর্বশেষ পরিস্থিতির লাইভ শেষে সাংবাদিকের মৃত্যু Logo দুপুরের মধ্যেই অধিকাংশ ভোট কাস্ট, চাপ নেই ভোটারের Logo আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী, নারী সহকারী প্রক্টরকে তানভির বারী হামিম Logo আপনি পদত্যাগ করলে আমার কী, নারী সহকারী প্রক্টরকে হামিম Logo সাদিক-ফরহাদের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ আবিদুলের Logo ছাত্রদলের ব্যালট নম্বরে স্টাফ ক্রস দিয়েছেন, অভিযোগ সাদিক কায়েমের

প্রচারপত্র বিতরণ নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের সাথে আবিদুলের ‘বাক-বিতন্ডা’

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রচারপত্র বিতরণকে কেন্দ করে ছাত্রদল-সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের সঙ্গে কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর বাক-বিতন্ডা লক্ষ্য কার গেছে। এই কেন্দ্রে সামসুর নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে আসলে একজন কর্মী প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এসময় নারী শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন ‘আজকে তো প্রচারপত্র দিচ্ছেন কেন? আজকে তো এটা দেওয়ার কথা না।’ তখন আবিদুল বলেন- ‘শিক্ষার্থীরা এতগুলো পদ প্রার্থীদের মনে রাখবে কি করে? তখন তিনি তার কর্মীকে বলেন তুমি দিতে থাক, আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলতেছি।’ পরবর্তীতে আরেকজন এসে সেই কর্মীর কাছে একই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।

এরআগে ভোটগ্রহণ চলাকালে নিয়ম লঙ্ঘন করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন আবিদুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের একটি নির্ধারিত অংশে প্রবেশ করেন, যেখানে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছিলেন।

নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ভোটগ্রহণ চলাকালীন ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারেন না। তবে সেই নিয়ম উপেক্ষা করে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন আবিদুল। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

কেন্দ্রে প্রবেশের পর আবিদুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো কার্ড দেয়নি। এজন্য আমাকে ছাত্রীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই এখানে এসেছি পরিস্থিতি দেখতে। তিনি দাবি করেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। বরং তিনি দেখাতে চেয়েছেন, নির্বাচন পরিচালনায় কতটা অব্যবস্থা রয়েছে।

তবে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, প্রার্থীদের কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। আমি নিজে জহুরুল হকের কেন্দ্রে ছিলাম। ওই সময়ের ঘটনা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আবিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আপনাদের বিবেক খাটিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিন। কেউ যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে ঘরে বসে না থাকেন। সবাই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন।

ভোট শুরুর পর থেকেই ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। প্রথমবারের মতো হলে নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আটটি কেন্দ্রে হচ্ছে ভোট। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

এবারের ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। ভিপি পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫ জন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন লড়ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮১০টি বুথ। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।

জনপ্রিয় সংবাদ

চলছে ভোট গণনা ,ভিড় বেড়েছে শাহবাগে, সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

প্রচারপত্র বিতরণ নিয়ে নারী শিক্ষার্থীদের সাথে আবিদুলের ‘বাক-বিতন্ডা’

আপডেট সময় ১১:০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। তবে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে প্রচারপত্র বিতরণকে কেন্দ করে ছাত্রদল-সমর্থিত সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খানের সঙ্গে কয়েকজন নারী শিক্ষার্থীর বাক-বিতন্ডা লক্ষ্য কার গেছে। এই কেন্দ্রে সামসুর নাহার হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে আসলে একজন কর্মী প্রচারপত্র বিতরণ করেন। এসময় নারী শিক্ষার্থীরা ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন ‘আজকে তো প্রচারপত্র দিচ্ছেন কেন? আজকে তো এটা দেওয়ার কথা না।’ তখন আবিদুল বলেন- ‘শিক্ষার্থীরা এতগুলো পদ প্রার্থীদের মনে রাখবে কি করে? তখন তিনি তার কর্মীকে বলেন তুমি দিতে থাক, আমি প্রশাসনের সাথে কথা বলতেছি।’ পরবর্তীতে আরেকজন এসে সেই কর্মীর কাছে একই ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখান।

এরআগে ভোটগ্রহণ চলাকালে নিয়ম লঙ্ঘন করে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন আবিদুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রের একটি নির্ধারিত অংশে প্রবেশ করেন, যেখানে জগন্নাথ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছিলেন।

নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী ভোটগ্রহণ চলাকালীন ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারেন না। তবে সেই নিয়ম উপেক্ষা করে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন আবিদুল। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়।

কেন্দ্রে প্রবেশের পর আবিদুল সাংবাদিকদের বলেন, প্রার্থীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো কার্ড দেয়নি। এজন্য আমাকে ছাত্রীদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাই এখানে এসেছি পরিস্থিতি দেখতে। তিনি দাবি করেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে ঢুকে অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কোনো উদ্দেশ্য তার ছিল না। বরং তিনি দেখাতে চেয়েছেন, নির্বাচন পরিচালনায় কতটা অব্যবস্থা রয়েছে।

তবে ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মোস্তাক গাউসুল হক বলেন, প্রার্থীদের কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের সুযোগ নেই। আমি নিজে জহুরুল হকের কেন্দ্রে ছিলাম। ওই সময়ের ঘটনা জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আবিদুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আপনাদের বিবেক খাটিয়ে যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নিন। কেউ যেন ভোটাধিকার প্রয়োগ না করে ঘরে বসে না থাকেন। সবাই কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিন।

ভোট শুরুর পর থেকেই ক্যাম্পাসে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ। প্রথমবারের মতো হলে নয়, বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে আটটি কেন্দ্রে হচ্ছে ভোট। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

এবারের ৩৮তম ডাকসু নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬২ জন। ভিপি পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৫ জন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন এবং এজিএস পদে ৪ জন লড়ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছে ৮১০টি বুথ। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন।