শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল। এ প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা অলির পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে দেশটির বিরোধী দল রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র পার্টি (আরএসপি)।
সোমবার এক বিবৃতিতে আরএসপির সাধারণ সম্পাদক কবীন্দ্র বুরলাকোতি বলেন, “এই বিক্ষোভ প্রমাণ করেছে যে নেপালি কংগ্রেস ও কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) জোট সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। জনগণের আস্থা তারা আগেই হারিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী অলির অবিলম্বে পদত্যাগ করে আগাম নির্বাচনের পথ সুগম করা জরুরি।”
“সেই সঙ্গে আমাদের দাবি, এই বিক্ষোভে যত খুনের ঘটনা ঘটেছে এবং এই সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর যেসব দুর্নীতি হয়েছে— সেসবের তদন্তের জন্য একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিশন গঠন করুক বিচার বিভাগ। আমরা শিক্ষার্থী-জনতাদের গুলি করে হত্যার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।”
গত বছর নেপালের সুপ্রিম কোর্ট দেশটিতে সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগমগুলোকে সরকারিভাবে নিবন্ধিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই নির্দেশের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার দেশে সক্রিয় সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমগুলোকে নিবন্ধনের জন্য গত ২৮ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল।
কিন্তু নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও সরকারিভাবে নিবন্ধন না করায় ফেসবুক, এক্স, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে এ নিষেধাজ্ঞা।