ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দেশের মানুষের পাতে জুটছে না ইলিশ, তবু ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত Logo এবার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল নেপালে Logo রাত পোহালেই ডাকসু নির্বাচন : যেভাবে ভোট দিবে শিক্ষার্থীরা Logo যেদিন আমরা রাস্তায় নামব লাঠি না, বন্দুকও কিছু করতে পারবে না Logo জামালপুরে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যক্তির ৮ বছরের কারাদন্ড Logo বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল: ‘নৈতিক কারণে’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ Logo শিক্ষার্থীদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান ঢাবি উপাচার্যের Logo বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল : নিহত ১৯, কাঠমান্ডুতে কারফিউ Logo সন্ত্রা/সবিরোধী আইনের মামলায় সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খান কারাগারে Logo ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য

এবার ভিপি প্রার্থী শামীমের পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামীপন্থী অধ্যাপক আ ক ম জামাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শামীম হোসেনসহ বেশ কিছু প্রার্থীর জন্য হোয়াটসঅ্যাপে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ (আ ক ম) জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন; যেখানে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের নাম ও ব্যালট নম্বর উল্লেখ করে তাদের জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ড. জামালের ভোট চাওয়ার ওই স্ক্রিনশটের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী ‌‘স্বতন্ত্র ছাত্র ঐক্য’, ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ এবং প্রতিরোধ পর্ষদ থেকে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। কোনো প্রার্থীর বিষয়ে ভোট চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। যে কেউ আমার নাম দিয়ে ফোন নম্বর সেভ করতে পারে। এটা থেকে প্রমাণ হয় না ওই ব্যক্তি আমি। গণমাধ্যমকর্মীরা যাচাই করে দেখতে পারেন প্রকাশিত স্ক্রিনশটে আমার নাম দিয়ে যে নম্বরটি সেভ করা হয়েছে সেটির প্রকৃত মালিক কে?

ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশট নিয়ে কোনো প্রতিবাদ জানাবেন কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জামাল বলেন, ‌‘না’। তিনি বলেন, আমি যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি, আমাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কাল ডাকসু ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো পোস্ট করব না। কাল যে বা যারা জিতবে তাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করব।

প্রকাশিত স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ভিপি পদে শামীম-ব্যালট নং: ৪২; জিএস পদে আরাফাত-ব্যালট নং: ১ ও এজিএস পদে মো. জাবির আহমেদ জুবেল-ব্যালট নং: ১৮ এর জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে- মো. মমিনুল ইসলাম (বিধান); আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মো. শাকিব মাহামুদ, ব্যালট নং: ০৯; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে- মো. রাজিন হোসেন ও মো. রাফিজ খান; সমাজসেবা সম্পাদক পদে- মো. আশরাফুল ইসলাম; ক্রীড়া সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে মো. রিয়াজ মাতুব্বর; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সম্পাদক পদে আয়ান আব্দুল্লাহ; নূমান আহমাদ চৌধুরী ও বি এম ফাহমিদা আলম; কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক- সুর্মী চাকমা; সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী)- মো. লানজু খান; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক- মিনহাজুল ইসলাম ফারহান; মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক – আকাশ আলী; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে মোছা. জান্নাতুন নাহার ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী)- মাহামুদ হাসান-এর জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া সদস্য হিসেবে- আনিয়া আক্তার; আবিদ আব্দুল্লাহ; উপাইমং পৃথিং; এস.এম. তামিম বিন অপূর্ব; ওয়াকার রহমান সৌরভ; মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান; মো. আব্দুল কাদির জিলানী; মো. আরিফুল ইসলাম রনি; মো. জাহিদ হাসান; মো. তাফসিরুল ইসলাম তুশিন; মো. নাইমুর রহমান দূর্জয়; মো. নেওয়াজ শরীফ (আরমান); মো. হাসীব আল হাসান ও সোমানন্দ বড়ুয়া সৌরভ-এর জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার রাজনৈতি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, তিনি বিসিএল এর ব্যানারে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দীর্ঘ দিনের। ছবিগুলো বিভিন্ন বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের।

এ বিষয়ে শামীম হোসেন বলেন, জাসদের উত্থান-পতন বইটি পড়ার পর সিরাজুল আলম খানের সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছে হয়। এর জন্য একটি থ্রু (মাধ্যম) দরকার ছিল। তাই আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করি। আমি যেহেতউ তাদের সাথে সিরাজুল আলম খানের সাথে দেখা করতে যাই, একটি অনুষ্ঠানে তারা আমাকে একটি ব্যানার ধরে দাঁড়াতে বলে। আর এই ছবিটিই এখন ভাইরাল হয়েছে। এটা আসলে আমাকে ফ্রেমিং করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশের মানুষের পাতে জুটছে না ইলিশ, তবু ভারতে রপ্তানির সিদ্ধান্ত

এবার ভিপি প্রার্থী শামীমের পক্ষে ভোট চাইলেন আওয়ামীপন্থী অধ্যাপক আ ক ম জামাল

আপডেট সময় ০৮:১০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শামীম হোসেনসহ বেশ কিছু প্রার্থীর জন্য হোয়াটসঅ্যাপে শিক্ষার্থীদের কাছে ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থি শিক্ষক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম মোহাম্মদ (আ ক ম) জামাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীরা প্রমাণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর কিছু স্ক্রিনশট প্রকাশ করেছেন; যেখানে নির্দিষ্ট প্রার্থীদের নাম ও ব্যালট নম্বর উল্লেখ করে তাদের জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ড. জামালের ভোট চাওয়ার ওই স্ক্রিনশটের অধিকাংশই স্বতন্ত্র প্রার্থী। এর মধ্যে কয়েকজন প্রার্থী ‌‘স্বতন্ত্র ছাত্র ঐক্য’, ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ এবং প্রতিরোধ পর্ষদ থেকে রয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক ড. আ ক ম জামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। কোনো প্রার্থীর বিষয়ে ভোট চাওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। যে কেউ আমার নাম দিয়ে ফোন নম্বর সেভ করতে পারে। এটা থেকে প্রমাণ হয় না ওই ব্যক্তি আমি। গণমাধ্যমকর্মীরা যাচাই করে দেখতে পারেন প্রকাশিত স্ক্রিনশটে আমার নাম দিয়ে যে নম্বরটি সেভ করা হয়েছে সেটির প্রকৃত মালিক কে?

ছড়িয়ে পড়া স্ক্রিনশট নিয়ে কোনো প্রতিবাদ জানাবেন কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. জামাল বলেন, ‌‘না’। তিনি বলেন, আমি যেহেতু বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি, আমাকে নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। কাল ডাকসু ফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত আমি এ বিষয়ে কোনো বিবৃতি বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো পোস্ট করব না। কাল যে বা যারা জিতবে তাদের সাথে একসঙ্গে কাজ করব।

প্রকাশিত স্ক্রিনশটে দেখা যায়, ভিপি পদে শামীম-ব্যালট নং: ৪২; জিএস পদে আরাফাত-ব্যালট নং: ১ ও এজিএস পদে মো. জাবির আহমেদ জুবেল-ব্যালট নং: ১৮ এর জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে- মো. মমিনুল ইসলাম (বিধান); আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মো. শাকিব মাহামুদ, ব্যালট নং: ০৯; ছাত্র পরিবহন সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে- মো. রাজিন হোসেন ও মো. রাফিজ খান; সমাজসেবা সম্পাদক পদে- মো. আশরাফুল ইসলাম; ক্রীড়া সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে মো. রিয়াজ মাতুব্বর; মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সম্পাদক পদে আয়ান আব্দুল্লাহ; নূমান আহমাদ চৌধুরী ও বি এম ফাহমিদা আলম; কমন রুম, রিডিং রুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক- সুর্মী চাকমা; সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী)- মো. লানজু খান; স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক- মিনহাজুল ইসলাম ফারহান; মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক – আকাশ আলী; গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী) পদে মোছা. জান্নাতুন নাহার ও ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক (স্বতন্ত্র প্রার্থী)- মাহামুদ হাসান-এর জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া সদস্য হিসেবে- আনিয়া আক্তার; আবিদ আব্দুল্লাহ; উপাইমং পৃথিং; এস.এম. তামিম বিন অপূর্ব; ওয়াকার রহমান সৌরভ; মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান; মো. আব্দুল কাদির জিলানী; মো. আরিফুল ইসলাম রনি; মো. জাহিদ হাসান; মো. তাফসিরুল ইসলাম তুশিন; মো. নাইমুর রহমান দূর্জয়; মো. নেওয়াজ শরীফ (আরমান); মো. হাসীব আল হাসান ও সোমানন্দ বড়ুয়া সৌরভ-এর জন্য ভোট চাওয়া হয়েছে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, ভিপি প্রার্থী শামীম হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিলেও তিনি জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তার রাজনৈতি সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, তিনি বিসিএল এর ব্যানারে একাধিক রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দীর্ঘ দিনের। ছবিগুলো বিভিন্ন বছরের ভিন্ন ভিন্ন সময়ের।

এ বিষয়ে শামীম হোসেন বলেন, জাসদের উত্থান-পতন বইটি পড়ার পর সিরাজুল আলম খানের সাথে দেখা করার খুব ইচ্ছে হয়। এর জন্য একটি থ্রু (মাধ্যম) দরকার ছিল। তাই আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করি। আমি যেহেতউ তাদের সাথে সিরাজুল আলম খানের সাথে দেখা করতে যাই, একটি অনুষ্ঠানে তারা আমাকে একটি ব্যানার ধরে দাঁড়াতে বলে। আর এই ছবিটিই এখন ভাইরাল হয়েছে। এটা আসলে আমাকে ফ্রেমিং করা হয়েছে।