৪ টি সংসদীয় আসন ও সীমানা পুনর্বহালের বহালের দাবিতে গেরহাটে পালিত হচ্ছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। সোমবার (৮ সেপ্টেমরবর) সকাল থেকে বাগেরহাট থেকে লোকাল ও দূরপাল্লার কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। বিভিন্ন মোড়ে পিকেটিং করছে সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা খারদার এলাকায় নির্বাচন অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের গাড়িতে নামে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল ইসলাম তার কার্যালয় ঢুকতে গেলে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তিনি অফিসে ঢুকতে না পেরে জেলা ব্যবস্থাপনা কার্যালয়ে অফিস করছেন।
এর আগে গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সংসদীয় আসন ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি এক সংবাদ সম্মেলনে এ হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, বাগেরহাট- ৩ (রামপাল-মোংলা) ও সীমানা পুনর্বহালের দাবিতে ৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে আজ রোববার জেলার সকল অফিস আদালত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাটবাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। আগামীকাল সোমবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, মঙ্গলবার সকল উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল এবং বুধ ও বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধ্যা হবতালের ঘোষণা করেছে জেলা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি।
প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাসে ভোটার সংখ্যা কম হওয়ায় রামপাল -মোংলা নিয়ে গঠিত বাগেরহাট- ৩ আসন কমিয়ে গাজীপুরে নতুন আসন করার ঘোষণা দেয় নির্বাচন কমিশন। এরপর বাগেরহাটের রাজনৈতিক দল ও সর্বস্তরের মানুষ ফুঁসে উঠে। গত ২৫ আগস্ট নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানিও করে। কিন্তু তাতো কোন কাজে হয়নি। অবশেষে বাগেরহাটে ৪টি আসন থেকে ৩টি আসন চুড়ান্ত করে গত ৪ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নির্বাচন কমিশনের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমানে সদর-চিতলমারী-মোল্লাহাট নিয়ে বাগেরহাট- ১, ফকিরহাট-রামপাল-মোংলা নিয়ে বাগেরহাট-২ এবং কচুয়া-মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা নিয়ে বাগেরহাট-৩ সংসদীয় আসন ঘোষণা করা হয়েছে।