ঢাকা ০১:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত জাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর দায়িত্ব নিলো ছাত্রশিবির Logo শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে Logo বাগেরহাটে চলছে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল, নির্বাচনি অফিসে তালা Logo পবিত্র সিরাতুন্নবী উপলক্ষে মৌলভীবাজারে মৌসাসের না’ত মাহফিল অনুষ্ঠিত Logo ইবি ক্যাফেটেরিয়াতে সংযুক্ত হলো পর্দানশীন নারীদের জন্য বিশেষ কর্নার Logo এবার জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট Logo বুলিং-র‍্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইন হিসেবে ঘোষণা হাইকোর্টের Logo ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর বিবৃতি Logo উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ Logo ডাকসু নির্বাচন বানচালে গভীর চক্রান্ত, প্রতিহতের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

ডাকসু নির্বাচন বানচালে গভীর চক্রান্ত, প্রতিহতের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

 

আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনের দিন নানা অঘটনের অপচেষ্টা চালাতে একটি গ্রুপ সক্রিয়। তারা ডাকসু নির্বাচন বানচাল করে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।

অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহত করা হবে।

দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন নিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এই ভোটকে কেন্দ্র করে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ডাকসুতে এবার ৪০ হাজার ভোটারের ভোট বিপ্লব হবে। তবে, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট, সোশ্যালমিডিয়াতে নানা অপপ্রচার, নারী প্রার্থীদের বুলিংসহ বিভিন্ন কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাকসুসহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি গ্রুপ ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তারা নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসগুলোকে উত্তপ্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। এর মাধ্যমে তারা জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ওই গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উসকে দিতে চাচ্ছে। এজন্য প্রধান টার্গেট হিসেবে তারা ডাকসু নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে।

তারা মনে করে, ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুল করা সম্ভব হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে। এতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনও বানচাল করা সহজতর হবে।

ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান রিটের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে পুরো নির্বাচনকে নিয়ে আসার বিষয়টিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র মনে হয়েছে। পরাজিত শক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তপ্ত করতে চায় বলে ধারণা করছি। ফ্যাসিবাদের দোসররা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায়। যাই হোক না কেন নির্বাচন হবেই। কারণ, এই ডাকসু নির্বাচন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়লে জাতীয় নির্বাচনে ষড়যন্ত্র হতে পারে। এই জায়গায় কোনো আপস করা হবে না। ছাত্রদলের এই প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম জানায়, এখানে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তো চলছেই। এ বিষয়ে আমরা যারা নির্বাচন করছি, সাধারণ ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করলে সব ষড়যন্ত্র চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে পারব। আমরা জুলাইয়ের প্রজন্ম। জুলাইয়ে আমরা খুনি হাসিনাকে হটিয়েছি। যারা এখানে আবার হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইবে। ষড়যন্ত্র করবে তাদের পরিণতি হাসিনার চেয়ে খারাপ হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে উচ্ছ্বাস আমরা দেখছি তাতে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত যাই হোক না কেন তার সবই নস্যাৎ হবে।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেছেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পরে গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভোট নিয়ে একটি উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায় থেকে যে উদ্ভূত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে সেটা শিক্ষার্থীদের ভেতরে শঙ্কা তৈরি করছে। শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের পক্ষে আছে। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা ভোট দিতে চায়। ভোটের মাঠ উৎসবমুখর করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। এই নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড দেখাবেন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান বলেছেন, সব প্রার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরাও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট ও আশঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে। আশা করব, সেই ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। আশা করব, সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ একটি টেলিভিশন টক শো’তে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশে বসে দিল্লির রাজনীতি করে তারা ও তাদের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার নানা চক্রান্ত করছে। কারণ, তারা ভালো করেই জানে এই নির্বাচন বানচাল হলে ক্যাম্পাস গরম হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সরকারের ওপর ক্ষীপ্ত হবে। এতে করে ছাত্র আন্দোলন উসকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থের অভাবে ভর্তি অনিশ্চিত জাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর দায়িত্ব নিলো ছাত্রশিবির

ডাকসু নির্বাচন বানচালে গভীর চক্রান্ত, প্রতিহতের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় ০৯:৩৫:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

 

আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনের দিন নানা অঘটনের অপচেষ্টা চালাতে একটি গ্রুপ সক্রিয়। তারা ডাকসু নির্বাচন বানচাল করে শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়।

অবশ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা এ বিষয়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। তারা বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে তা প্রতিহত করা হবে।

দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে। গতকাল রোববার রাত ১০টায় নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য এই নির্বাচন নিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হতে যাওয়া শিক্ষার্থীদের এই ভোটকে কেন্দ্র করে দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, ডাকসুতে এবার ৪০ হাজার ভোটারের ভোট বিপ্লব হবে। তবে, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে উচ্চ আদালতে একাধিক রিট, সোশ্যালমিডিয়াতে নানা অপপ্রচার, নারী প্রার্থীদের বুলিংসহ বিভিন্ন কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডাকসুসহ দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর চলমান ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে একটি গ্রুপ ফায়দা লুটতে চাচ্ছে। তারা নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসগুলোকে উত্তপ্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। এর মাধ্যমে তারা জাতীয় নির্বাচনকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে। ফ্যাসিবাদকে ফিরিয়ে আনার চক্রান্তের অংশ হিসেবে ওই গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের উসকে দিতে চাচ্ছে। এজন্য প্রধান টার্গেট হিসেবে তারা ডাকসু নির্বাচনকে বেছে নিয়েছে।

তারা মনে করে, ডাকসু নির্বাচন ভন্ডুল করা সম্ভব হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠবে। এতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্র সংসদ নির্বাচনও বানচাল করা সহজতর হবে।

ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান রিটের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে পুরো নির্বাচনকে নিয়ে আসার বিষয়টিকে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র মনে হয়েছে। পরাজিত শক্তিরা বিশ্ববিদ্যালয়কে উত্তপ্ত করতে চায় বলে ধারণা করছি। ফ্যাসিবাদের দোসররা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে চায়। যাই হোক না কেন নির্বাচন হবেই। কারণ, এই ডাকসু নির্বাচন ষড়যন্ত্রের মুখে পড়লে জাতীয় নির্বাচনে ষড়যন্ত্র হতে পারে। এই জায়গায় কোনো আপস করা হবে না। ছাত্রদলের এই প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের’ ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম জানায়, এখানে ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত তো চলছেই। এ বিষয়ে আমরা যারা নির্বাচন করছি, সাধারণ ছাত্র, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করলে সব ষড়যন্ত্র চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে পারব। আমরা জুলাইয়ের প্রজন্ম। জুলাইয়ে আমরা খুনি হাসিনাকে হটিয়েছি। যারা এখানে আবার হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাইবে। ষড়যন্ত্র করবে তাদের পরিণতি হাসিনার চেয়ে খারাপ হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে যে উচ্ছ্বাস আমরা দেখছি তাতে ষড়যন্ত্র চক্রান্ত যাই হোক না কেন তার সবই নস্যাৎ হবে।

ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস প্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম বলেছেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন পরে গণতান্ত্রিক পন্থায় একটি নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে। শিক্ষার্থীদের ভোট নিয়ে একটি উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন পর্যায় থেকে যে উদ্ভূত পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে সেটা শিক্ষার্থীদের ভেতরে শঙ্কা তৈরি করছে। শিক্ষার্থীরা নির্বাচনের পক্ষে আছে। উৎসবমুখর পরিবেশে তারা ভোট দিতে চায়। ভোটের মাঠ উৎসবমুখর করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নিতে হবে। এই নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করবে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা লাল কার্ড দেখাবেন।

ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের এজিএস প্রার্থী মহিউদ্দিন খান বলেছেন, সব প্রার্থী স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনি প্রচারণা চালাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরাও ইতিবাচক সাড়া দিচ্ছেন। তবে নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের কৃত্রিম সংকট ও আশঙ্কা তৈরি করা হচ্ছে। আশা করব, সেই ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হবে না। আশা করব, সবার অংশগ্রহণে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ একটি টেলিভিশন টক শো’তে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন।

তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশে বসে দিল্লির রাজনীতি করে তারা ও তাদের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করছে। তারা ডাকসু নির্বাচনকে বানচাল করার নানা চক্রান্ত করছে। কারণ, তারা ভালো করেই জানে এই নির্বাচন বানচাল হলে ক্যাম্পাস গরম হয়ে যাবে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সরকারের ওপর ক্ষীপ্ত হবে। এতে করে ছাত্র আন্দোলন উসকে দিয়ে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে।