ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ইবি ক্যাফেটেরিয়াতে সংযুক্ত হলো পর্দানশীন নারীদের জন্য বিশেষ কর্নার Logo এবার জাকসু নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট Logo বুলিং-র‍্যাগিং প্রতিরোধ সংক্রান্ত নীতিমালাকে আইন হিসেবে ঘোষণা হাইকোর্টের Logo ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর বিবৃতি Logo উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ Logo ডাকসু নির্বাচন বানচালে গভীর চক্রান্ত, প্রতিহতের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের Logo ১৭০ কিমি বেগে ঝড়:বন্ধ স্কুল- কলেজ বাতিল করা হয়েছে ফ্লাইট Logo চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর কবজি কেটে দেওয়া বিএনপি কর্মী ৩মাস পর আটক Logo ‘দেশের উন্নয়নে বিএনপি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই’-সালিমুল হক কামাল Logo গাজায় বেড়েই চলছে ইসরায়েলি গণহত্যা, ২৪ ঘণ্টায় নিহত ৮৭ জন

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি।

ফরিদা ইয়াছমিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে ও সোনাইমুড়ীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাপুয়া গ্রামের নুর নবীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্লাহ জানায়, ফরিদা পর্দানশিন নারী। আমি সাত মাসে একবারও তার চেহারা দেখিনি। কেবল ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়ালে কথা হতো। প্রায় স্বামীর সাথে ফরিদার ঝামেলা হতো। তার স্বামী বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। সকালে দরজা না খোলায় আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি এবং পুলিশ এসে মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন, আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ইবি ক্যাফেটেরিয়াতে সংযুক্ত হলো পর্দানশীন নারীদের জন্য বিশেষ কর্নার

স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে প্রবাসীর স্ত্রীর আত্মহত্যা

আপডেট সময় ০৭:০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্বামীকে ভিডিও কলে রেখে ফরিদা ইয়াছমিন (৩১) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন।

গতকাল রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের শফিক হুজুরের বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, আমরা সিসি ক্যামেরাগুলো ও মুঠোফোন জব্দ করেছি। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করেছি।

ফরিদা ইয়াছমিন নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মো. দুলাল মিয়ার মেয়ে ও সোনাইমুড়ীর যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী পাপুয়া গ্রামের নুর নবীর স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্বামী নুর নবী দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীকে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। গত সাত মাস ধরে ফরিদা শফিক হুজুরের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। দুই রুমের বাসায় চারটি সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরবন্দি করে রাখতেন। শনিবার রাতে পারিবারিক কলহের জেরে বাসা থেকে বের হতে চাইলেও স্বামী বের হতে দেননি। তারপর ভিডিও কলে স্বামীকে রেখে বোরখা পরা অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ফরিদা আত্মহত্যা করেন।

বাড়ির মালিক শফিক উল্লাহ জানায়, ফরিদা পর্দানশিন নারী। আমি সাত মাসে একবারও তার চেহারা দেখিনি। কেবল ভাড়া বা বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সময় পর্দার আড়ালে কথা হতো। প্রায় স্বামীর সাথে ফরিদার ঝামেলা হতো। তার স্বামী বেডরুমেও সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। সকালে দরজা না খোলায় আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি এবং পুলিশ এসে মরদেহ ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখে।

নিহতের ভাই মাসুদ ও রাশেদ রানা বলেন, আমার বোনকে নুর নবী নজরবন্দি করে রেখেছিল। সে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। সিসি ক্যামেরায় এবং ভিডিও কলে আমার বোনকে দেখেও সে কাউকে বলে নাই। সে চেয়েছে আমার বোন মারা যাক। আমরা এই ঘাতকের ফাঁসি চাই।