ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo গাইবান্ধায় বাসর ঘরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী Logo আ.লীগ ও জাতীয় পার্টিকে চিরতরে নিষিদ্ধ করতে হবে: সারজিস আলম Logo জামায়াত ৫ বছর রাষ্ট্র পরিচালনা করলে দেশের উন্নয়ন এগিয়ে যাবে ২৫ বছর Logo ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল পক্ষে প্রচারণায় রূপসা ছাত্রদলের সেক্রেটারি, ভিডিও ভাইরাল Logo লাশ পোড়ানো ইসলামের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই: ইসলামী আন্দোলন Logo তারেক রহমান কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশে ফিরবেন: ডা. জাহিদ Logo চবি প্রশাসনিক ভবনে লেখা হলো ‘নিয়োগ বাণিজ্যের জমিদার ভবন’ Logo ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ-নেপাল ম্যাচ ড্র Logo ক্লিন ইমেজ আ. লীগ নেতাদের মনোনয়ন দেবে জাপা: কো-চেয়ারম্যান Logo সংসার চালাতে ৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করছেন নাসুমের বাবা!

ছাত্রদলকে ভোট দিতে ঢাবি ছাত্রীকে জেলা বিএনপি সভাপতির ফোন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার অভিযোগ করেছেন, তাকে ফোন করে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। এতে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

সামিয়া আরও জানান, তার অভিযোগ অনুযায়ী ফোনটি করা হয়েছিল চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষ থেকে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) শামসুন নাহার হল সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদপ্রার্থী।

শনিবার (৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ তুলে ধরেন সামিয়া।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে কল দিয়েছেন সেটি ওই শিক্ষার্থী ভালো বলতে পারবেন। ওই শিক্ষার্থীর কাছে যে নাম্বার থেকে কল দেওয়া হয়েছিল, সেই নাম্বারটি নিয়ে আমাকে দিন। এরপর খোঁজ নিয়ে বলতে পারব, বিষয়টি আসলে কি।’

ফেসবুক পোস্টে সামিয়া লিখেছেন, ‘আমি চাঁদপুরের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ আগে আমার ফোনে একটি কল আসে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষ থেকে। আমাকে বলা হলো যেন ৯ তারিখ ছাত্রদলের প্যানেলে ভোট দিই। কিন্তু আমার ভোট আমি নিজেই দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। একজন জেলার বিএনপি সভাপতি কি আমার ভোট ঠিক করে দেয়ার অধিকার রাখে?’

এসময় তিনি ব্যক্তিগত প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—আমার নাম্বার কীভাবে একজন জেলার নেতার কাছে পৌঁছালো? আমার মনে হচ্ছে, শুধু আমাকে নয়, আরও অনেক মেয়েকেই কল দেয়া হয়েছে ছাত্রদলকে ভোট দেয়ার জন্য। এটা শুধু প্রাইভেসির লঙ্ঘন নয়, নারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যও গুরুতর ঝুঁকি।

জনপ্রিয় সংবাদ

গাইবান্ধায় বাসর ঘরে স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দিলেন স্ত্রী

ছাত্রদলকে ভোট দিতে ঢাবি ছাত্রীকে জেলা বিএনপি সভাপতির ফোন

আপডেট সময় ০৭:৪৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া আক্তার অভিযোগ করেছেন, তাকে ফোন করে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলকে ভোট দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়েছে। এতে তার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

সামিয়া আরও জানান, তার অভিযোগ অনুযায়ী ফোনটি করা হয়েছিল চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষ থেকে। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) শামসুন নাহার হল সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) পদপ্রার্থী।

শনিবার (৬ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে এ অভিযোগ তুলে ধরেন সামিয়া।

যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কে বা কারা আমার নাম ব্যবহার করে কল দিয়েছেন সেটি ওই শিক্ষার্থী ভালো বলতে পারবেন। ওই শিক্ষার্থীর কাছে যে নাম্বার থেকে কল দেওয়া হয়েছিল, সেই নাম্বারটি নিয়ে আমাকে দিন। এরপর খোঁজ নিয়ে বলতে পারব, বিষয়টি আসলে কি।’

ফেসবুক পোস্টে সামিয়া লিখেছেন, ‘আমি চাঁদপুরের মেয়ে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী। কিছুক্ষণ আগে আমার ফোনে একটি কল আসে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতির পক্ষ থেকে। আমাকে বলা হলো যেন ৯ তারিখ ছাত্রদলের প্যানেলে ভোট দিই। কিন্তু আমার ভোট আমি নিজেই দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। একজন জেলার বিএনপি সভাপতি কি আমার ভোট ঠিক করে দেয়ার অধিকার রাখে?’

এসময় তিনি ব্যক্তিগত প্রাইভেসি ও নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন ‘সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো—আমার নাম্বার কীভাবে একজন জেলার নেতার কাছে পৌঁছালো? আমার মনে হচ্ছে, শুধু আমাকে নয়, আরও অনেক মেয়েকেই কল দেয়া হয়েছে ছাত্রদলকে ভোট দেয়ার জন্য। এটা শুধু প্রাইভেসির লঙ্ঘন নয়, নারীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্যও গুরুতর ঝুঁকি।