ঢাকা ০৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফ্যাসিবাদ পতনে আন্তর্জাতিক বিশ্বে কাজ করেছেন ড. ইউনূস ও জামায়াত Logo পাকিস্তান হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক Logo দেশে আর গলাবাজি, টেন্ডারবাজির ও দুর্নীতি রাজনীতি চলবে না : মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন Logo জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে চবি ছাত্রশিবিরের বিবৃতি Logo আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফিফা বিশ্বকাপে মরক্কো Logo যারা ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়েছে, তারাই এখন বানচালের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত: আসিফ মাহমুদ Logo ছাত্রদলের আবিদ ভারতপন্থী ভিপি প্রার্থী:ইলিয়াস হোসাইন Logo মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয় : রুহুল কবির রিজভী Logo শিখা সংসদ ঘিরে তীব্র অসন্তোষ: রাজনৈতিক প্রভাব ও নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীর Logo মির্জা ফখরুল ইসলামের সঙ্গে পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে চবি ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে এমপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রশিবির।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) চবি ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়-সিরাজুল ইসলাম ভোটের আশায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘অহংকারী ও অপমানজনক’ ভাষায় বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপকর্ম আড়াল করে এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার সমতুল্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় শান্তি বজায় রাখা, কটেজ ও বাসাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতে স্থানীয়দের অনুরোধে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন চবি শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক। তবে তিনি বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিষয়ে যথাযথ ও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করছে চবি ছাত্রশিবির।

সংগঠনটি তাদের অফিস সম্পাদকের দেওয়া বিবৃতিতে বিষয়ে আরও বলা হয়, হাবিবউল্লাহ খালেদের বক্তব্যে শুধু বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠলেও স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসেনি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া ও ছাত্রদলের নেতারা এ ঘটনায় জড়িত থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, গ্রেপ্তারও করা হয়নি।

চবি ছাত্রশিবিরের দাবি, এই ঘটনায় যারা সরাসরি নির্দেশ, উসকানি ও আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের সবাইকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

জোবরা গ্রামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের ওপর। আমরা এই জায়গার মালিক, তাই অন্যায় কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিবাদ পতনে আন্তর্জাতিক বিশ্বে কাজ করেছেন ড. ইউনূস ও জামায়াত

জামায়াত নেতার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে চবি ছাত্রশিবিরের বিবৃতি

আপডেট সময় ০২:১৮:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

স্থানীয়দের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জামায়াতে ইসলামীর নেতা ও চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে এমপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলামের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রশিবির।

আজ শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) চবি ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়-সিরাজুল ইসলাম ভোটের আশায় শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ‘অহংকারী ও অপমানজনক’ ভাষায় বক্তব্য দেন। তার এই বক্তব্য প্রকৃত সন্ত্রাসীদের অপকর্ম আড়াল করে এবং স্থানীয় সন্ত্রাসীদের দায়মুক্তি দেওয়ার সমতুল্য।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাম্পাসের আশপাশের এলাকায় শান্তি বজায় রাখা, কটেজ ও বাসাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিতে স্থানীয়দের অনুরোধে উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন চবি শাখা ছাত্রশিবিরের অফিস সম্পাদক। তবে তিনি বক্তব্যে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিষয়ে যথাযথ ও বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে পারেননি। এজন্য তার পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করছে চবি ছাত্রশিবির।

সংগঠনটি তাদের অফিস সম্পাদকের দেওয়া বিবৃতিতে বিষয়ে আরও বলা হয়, হাবিবউল্লাহ খালেদের বক্তব্যে শুধু বহিরাগত ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের অপকর্ম ফুটে উঠলেও স্থানীয় ছাত্রদল ও বিএনপি নেতাদের সংশ্লিষ্টতা উঠে আসেনি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার নির্দেশদাতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য উদয় কুসুম বড়ুয়া ও ছাত্রদলের নেতারা এ ঘটনায় জড়িত থাকলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি, গ্রেপ্তারও করা হয়নি।

চবি ছাত্রশিবিরের দাবি, এই ঘটনায় যারা সরাসরি নির্দেশ, উসকানি ও আশ্রয় দিয়েছেন, তাদের সবাইকে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করতে হবে।

জোবরা গ্রামে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিরাজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। আমরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী এলাকার মালিক। আমরা জমিদার, জমিদারের ওপর কেউ হস্তক্ষেপ করবে, এটা আমরা মেনে নেব না। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের বুকের ওপর। আমরা এই জায়গার মালিক, তাই অন্যায় কিছু মেনে নেব না। আমাদের সম্মান করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় যদি আমাদের যথাযথ সম্মান না করে, তবে আমরা জনগণ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব’।