জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা: সৈয়দ আবদুল্লাহ মো: তাহের বলেছেন, আসছে দিন গুলোতে জামায়াতের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পক্ষান্তরে অপর একটি দলের জনপ্রিয়তা কমছে। ওই দলটি গত কয়েকদিন আগেও সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ভাংচুর ও লুটপাট করেছে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা জামায়াত কেন্দ্র নির্বাচনী সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ইসলাম ভিন্ন ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা দেয় কিন্তু ক্ষতি করে না। জুলাই আন্দোলনে জড়িত ইসলামী দলগুলো অন্য ধর্মের লোকদের ক্ষতি করে না। ইসলামপন্থীদের দ্বারা এদেশের হিন্দুরা কখনো অত্যাচারিত হয়নি। আগামী নির্বাচনে জুলাই চেতনায় বিশ্বাসী দলগুলো নিয়ে জোট হবে।ডা: তাহের আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, উৎসবমুখর ও গ্রহনযোগ্য নির্বাচন চায়। যেখানে মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। যেন তেন উপায়ে কারো চাপিয়ে দেয়া নির্বাচন জনগণ মেনে নিবে না। জাতীয় নির্বাচন এই নির্বাচন হবে ভারতীয় আধিপত্যবাদ, দুর্নীতিবাজ ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক ও ইসলামপ্রিয় জনগণের বিজয়ের নির্বাচন। নতুন স্বপ্নে নব উদ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ার নির্বাচন। এই নির্বাচন হতে হবে সন্ত্রাস ও দখলদার মুক্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। প্রত্যেক ভোটারের কাছে দাঁড়িপাল্লার প্রতীকের আহবান পৌঁছে দিয়ে বিজয় নিশ্চিত করতে হবে।
শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা কেন্দ্র নির্বাচনী সমাবেশে জামায়াত নেতা আবুল কালাম মজুমদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর এডভোকেট মু. শাহজাহান, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমীর মাহফুজুর রহমান, বাতিসা ইউনিয়ন নির্বাচনের অঞ্চল পরিচালক মজিবুর রহমান ভুঁইয়া।
জামায়াত নেতা মাস্টার কামাল উদ্দিন ও আবদুল কাইয়ুম মানিকের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর সাইয়েদ রাশীদুল হাসান জাহাঙ্গীর, জামায়াত নেতা এম ইউসুফ, দেলোয়ার হোসেন মিন্টু, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মহসিন মজুমদার।
এর আগে প্রধান অতিথি ডা: তাহেরকে ফুলেল শুভেচছা জানান সমাজসেবক মহসিন মজুমদার, আবদুল হক, মো: লিটন।
এ সময় যুবনেতা নুরুল করিম মামুন, পেয়ার আহমেদ, হোসাইন মোহাম্মদ কাউসার, জাফর আহমেদ, রেজাউল করিম মিন্টু, ইব্রাহিম চৌধুরী অরুপ, ফরহাদ হোসেন, ওহিদুর রহমানসহ লুদিয়ারা, কুলিয়ারা, কালিকসার ও দুর্গাপুর গ্রামের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।