রংপুরে র্যাবের বিশেষ অভিযানে দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি কষ্টি পাথরের মূর্তিসহ তিন চোরাকারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কাটাবাড়ি ইউনিয়নে এ অভিযান চালানো হয়।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) বিপ্লব কুমার গোস্বামী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন গাইবান্ধার কাটাবাড়ি এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে গোলাম ফিরোজ লিটন (৩০), একই এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান সুজা (৩৫) এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার লক্ষ্মণপুর বাড়াইশালপাড়ার নিল চন্দ্র সরকারের ছেলে শিবু সরকার (৩০)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩ এর একটি দল গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান সুজার বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশির সময় গোয়াল ঘরের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় কষ্টি পাথরের তৈরি একটি মা-শিশুর মূর্তি। মূর্তিটির ওজন ৩৭ কেজি এবং বাজারমূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। এ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক বিপ্লব কুমার গোস্বামী বলেন, ‘কষ্টি পাথরের এই মূর্তিটি আন্তর্জাতিক বাজারে চোরাচালান করার পরিকল্পনা ছিল। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আগেই অভিযান চালিয়ে মূর্তিটি উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এমন অমূল্য সম্পদ রক্ষায় র্যাব সর্বদা তৎপর।’
তিনি আরো জানান, জব্দ করা আলামতসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ব্যক্তিদের আইনগত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী মনে করছে, আন্তর্জাতিক চোরাচালানচক্রের সঙ্গে এ চক্রের যোগসূত্র থাকতে পারে। মূর্তিটি কোথা থেকে আনা হয়েছে এবং কার কাছে পাচার করা হতো, তা বের করতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
কষ্টি পাথরের মূর্তি দেশে-বিদেশে অত্যন্ত মূল্যবান শিল্পকর্ম হিসেবে পরিচিত। প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্ব থাকায় এর অবৈধ বেচাকেনা আন্তর্জাতিক আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
স্থানীয়রা র্যাবের এ সফল অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এমন অভিযান চোরাকারবারিদের দমনে বড় ভূমিকা রাখবে।
ঢাকাভয়েস/২৪টিআই